ksrm-ads

৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

লামায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে রিক্সাচালকের লাশ, পরিবারের দাবী খুন

লামা প্রতিনিধি »

লামার ফাঁসিয়াখালী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাইন্যা ঝিরি এলাকায় মাসুক আহাম্মদ (৫৫) নামে এক রিক্সা চালকের লাশ পাওয়া গেছে। সে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাইন্যা ঝিরি এলাকার মৃত আব্দুর শুক্কুর এর ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল ৬টায় পার্শবর্তী চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের রিংভং এলাকার পাইন্যা ঝিরি নামক স্থানে বেলজিয়াম বাগানের মধ্যে তার লাশ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে লামা ও চকরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানটি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা, তবে ঘটনাস্থল চকরিয়া উপজেলায় পড়েছে।

নিহতের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম বলেন, আমার স্বামী পেশায় একজন রিক্সা চালক। আমরা লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাইন্যা ঝিরি গ্রামের বাসিন্দা। আমাদের পার্শবর্তী চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের রিংভং এলাকায় সরকারি সামাজিক বনায়নের বাগান রয়েছে। উক্ত সামাজিক বনায়নের বাগান নিয়ে চকরিয়ার পালাকাটা এলাকার কিছু লোকের সাথে বিরোধ চলে আসছে। তারা অনেকবার আমাদের হামলা ও মারধর করেছে।

তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমার স্বামী বাগান দেখাশুনার জন্য যায়। দুপুরে বৃষ্টি হয় কিন্তু তিনি বাড়িতে ফিরে আসেনি। বিকেলেও ফিরে না আসলে আমরা খোঁজাখুজি শুরু করি। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে রিজার্ভ এলাকার বেলজিয়াম বাগানের মধ্যে তার লাশ দেখতে পাই। বিষয়টি সাথে সাথে মেম্বার ও থানাকে অবহিত করি। আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। মনে হচ্ছে তার গায়ে এসিড ঢালা হয়েছে। শরীরে অনেক স্থানে চামড়া উঠে গেছে। আমি তার খুনের বিচার চাই।

লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আলমগীর বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। স্থানটি চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে পড়েছে। মাসুক আহাম্মদের ৩ মেয়ে ২ ছেলে রয়েছে।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, শুনামাত্র আমি সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। যদিও ঘটনাস্থল অন্য উপজেলায় পড়েছে। চকরিয়া থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আমরা তাদের সহযোগিতা করছি।

চকরিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরহাতাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। প্রাপ্ত সকল প্রকার তথ্য উপাত্থ মাথায় রেখে আমরা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করব।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন