ksrm-ads

১৭ মে ২০২৫

ksrm-ads

লায়লাতুল কদর; সৌভাগ্যের রাত ও আমাদের করণীয়

আজকের রাত সেই মহিমান্বিত রাত, যার সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘লায়লাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ এই বিশেষ রাতের মাহাত্ম্য শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্যই এক বিরাট আশীর্বাদ। এটি এমন এক রাত, যখন আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার দরজা উন্মুক্ত থাকে, এবং মানবজাতির ভাগ্য নির্ধারিত হয়।

লায়লাতুল কদরের গুরুত্ব আমাদের সবারই জানা, কিন্তু আমরা কি সত্যিই এই রাতের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারি? অনেকেই শুধু ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন, কিন্তু এই রাত আমাদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও আত্মসমালোচনার রাতও বটে। পবিত্র কুরআন এই রাতের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, এই রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং আল্লাহর নির্দেশ পালন করেন। ফলে এটি ক্ষমার, কল্যাণের ও আলোকিত জীবনের সন্ধান পাওয়ার রাত।

এই মহিমান্বিত রাতে আমাদের করণীয় কী? সর্বপ্রথম, আমাদের উচিত বেশি বেশি ইবাদত করা, নামাজ আদায় করা, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং দোয়া করা। বিশেষত, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি’ এই দোয়াটি বারবার পড়া উচিত, কারণ এটি নবী (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন।

এছাড়া, আত্মশুদ্ধির জন্য এ রাতটি উপযুক্ত সময়। সারা বছরের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাওয়া, ভবিষ্যতে সৎ পথে চলার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা এবং অন্যদের প্রতি সদয় হওয়া – এগুলোও লায়লাতুল কদরের অন্যতম শিক্ষা।

যদিও আমরা এই রাতটি মসজিদে কাটানোর অভ্যস্ত, তবে পারিবারিকভাবে ইবাদত করাও গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে নামাজ আদায় করা, কুরআন পড়া এবং আল্লাহর রহমত কামনা করা একটি সুন্দর অভ্যাস হয়ে উঠতে পারে।

লায়লাতুল কদর আমাদের জন্য এক মহা সুযোগ, যা আমাদের জীবনকে বদলে দিতে পারে। তাই আসুন, আমরা সবাই এই রাতের বরকত অর্জনের চেষ্টা করি, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং প্রকৃত মুসলমান হয়ে ওঠার সংকল্প গ্রহণ করি।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন