ksrm-ads

১৯ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অপহৃত ৫ রোহিঙ্গা মাঝির ৩ জন উদ্ধার, নিখোঁজদের পরিবারে উৎকন্ঠা

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারের টেকনাফে ২২নং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অপহৃত রোহিঙ্গা ৫ নেতার (হেড মাঝি) মাঝে তিনজনকে উদ্ধার করেছে শৃঙ্খলা বাহিনী। বৃৃৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উখিয়াস্থ ক্যাম্প-১৪, হাকিম পাড়া -ব্লক এ-৪ থেকে এ তিনজনকে উদ্বার করে পালংখালী আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম তারিক এ তথ্য জানিয়েছেন। অপহৃত বাকি ২ জন কোথায় আছে এখনো জানা যায় নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। গত বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বেলা ২টার দিকে ক্যাম্প-২২ থেকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ৫ জন মাঝিকে অপহরন করা হয়।

উদ্বারকৃত রোহিঙ্গারা হলেন, ক্যাম্প-২২ ব্লক-ডির হারুনুর রশিদের ছেলে ব্লকের হেড মাঝি সাব্বির (৪২), একই ক্যাম্পের নজু মিয়ার ছেলে ব্লক -এ’র হেড মাঝি মো. ইউসুপ (৩২) ও জুুুুলফিকারের ছেলে ব্লক-বি’র হেড মাঝি আবু মুছা (২৯)। 

তবে, কিভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং কিভাবে তারা অপহৃত হয় সে ব্যাপারে কিছুই জানাননি এসপি তারিক।

সূত্র জানায়, বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে টেকনাফের ২১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) কার্যালয়ে মিটিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হন ৫ জন রোহিঙ্গা মাঝি। বলে দাবি করেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা।

তাদের মাঝে ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নজু মিয়ার ছেলে এ-ব্লকের হেড মাঝি ইউসুফ, জুলফিকার আলীর ছেলে বি-ব্লকের হেড মাঝি আবু মুসা, হারুনের রশিদের ছেলে ডি-ব্লকের হেড মাঝি সাব্বিরকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও একই ক্যাম্পের নুরুল হাকিমের ছেলে ও সি-ব্লকের হেড মাঝি আমানুল্লাহ এবং নাসের হোসেনের ছেলে ও ক্যাম্পের হেড মাঝি রফিকের সন্ধ্যান মিলেনি।

ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যরা জানায়, বুধবার ২১ নং চাকমারকূল ক্যাম্পে বিশেষ সভায় যোগদান করেন নিখোঁজ ব্যক্তিরা। ঐদিন দুপুর ২টায় মিটিং শেষ হলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরও তাদের কেউ বাড়িতে ফিরে আসেননি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এখনও বন্ধ রয়েছে।
পরিবারের স্বজনদের দাবি, নিখোঁজ রোহিঙ্গা নেতারা বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যদের বিষয়ে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে আসছিলেন। তাই রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা প্রতিশোধ নিতে তাদের অপহরণ করেছে বলে তাদের ধারণা।

৫ জন রোহিঙ্গা নেতা নিখোঁজের বিষয়টি স্বীকার করে ২১-২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) রাশেদুল হাসান বলেন, তারা (নিখোঁজরা) আমার সাথে মিটিং করতে এসেছিল, তা সঠিক নয়। ক্যাম্প-২২ এর রাস্তার কাজ চলছে। সেখানে সেনাবাহিনীর সাথে মাসিক বৈঠকে তারা এসেছিল।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা মাঝিদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করার পরপরই সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজদের সন্ধান লাভের চেষ্টা করেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তিনজনের সন্ধান মিলেছে বলে জেনেছি। বাকিদের বিষয়েও চেষ্টা চলছে। 
এ ব্যাপারে ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন’র ইনচার্জ রাকিবুল ইসলাম বলেন, বিশেষ সভায় গিয়ে এই ক্যাম্পের ৫ জন হেড মাঝি নিখোঁজ হন। তাদের শনাক্ত করার পর উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করা হয়। তিনজনকে পাওয়া গেছে।

১৬ এপিবিএন অধিনায়ক পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উখিয়াস্থ ক্যাম্প-১৪, হাকিম পাড়া -ব্লক এ-৪ থেকে তিনজনকে উদ্বার করে পালংখালী আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।অপহৃত বাকি ২জনের বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন