বেঁচে থাকা
সবগুলো লাশই মেডিকেলের মর্গে,
তিনটা লাশ সাদা কাপড়ে মুড়ানো,
২টি লাশের গাঁ বেয়ে রক্ত অল্প ঝরছে, নাকে তুলো।
রসূল চাচা শত চেষ্টায়ও বেঁচে থাকতে পারে নি,
করোনার থাবায় ৫ হাসপাতাল ঘুরে ও আই সি ইউ মিলে নি।
ওদিকে অন্তিম দা যশ, প্রতিপত্তি আর সুদর্শিত পেয়ে ও বেঁচে থাকতে চায় নি।
রশি গলা পেঁচিয়ে হয়ে গেলেন নিথর,
শোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পাথর।
আর ওদিকে মুক্তা মণি চলে গেলো মর্গে,
জীবন মৃত্যুর পার্থক্য বুঝার আগে।
তবে ধর্ষকদের ফাঁসি আর কবে হবে!
ক’দিন দুঃখ ছিলো সবার হাতির মৃত্যুতে,
কিছু যায় আসে নি মুক্তামণি হত্যাকান্ডে।
তিনটি লাশ তিনদিকে ফিরে গেলো,
আমার বেঁচে থাকাটা আজো বেঁচে রইলো।
প্রেম যখন মর্গে!
ভুলের সমুদ্রে কত অভিযোগ এসেছিলো!
কত মুখ সেদিন পরিচিত ছিলো!
ভালো লাগেনি বলে মিথ্যাবাদীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে চাই না!
ভেবেছিলাম ভালো লাগাটাই প্রায়শ্চিত্ত!
মাশুলগুলো দিতে হয় নি তবে হৃদয় হয়েছিলো পাপিষ্ঠ।
বস্তিবাসীর হতদরিদ্র কোনো ছেলে হাতে গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে সেটি উত্যক্ত করা।
অট্টালিকার কোনো যুবকের লোলুপ দৃষ্টি তার কাছে পবিত্র ভালোবাসা।
অথচ দু’টোই নিষিদ্ধ কিংবা হারাম বলে স্বীকৃত!
বিয়ের মতো সম্পর্কই যেখানে সত্য পবিত্র কিংবা প্রশংসিত।
আধ ঘন্টা ব্যবধানে পার্কের বেঞ্চিতে বসে বেশ মাথা গুঁজে স্বপ্ন দেখা সুন্দরী মেয়েটির প্রেমিক হয়ে গেছে ধর্ষক।
আর মেয়েটি হয়েছে ধর্ষিতা, মর্গে লাশ খুঁজতে এসেছে তার স্বজনরা।
প্রেমিক প্রেমিকার যুগলবন্দী ছবি গুলো যারা ফেসবুকে শেয়ার করে পবিত্র ভালোবাসা বলে ক্যাপশন দিতো,
তারাও আজ প্রেমিকা নিয়ে এসেছে এবং বলছে ফাঁসি ফাঁসি, ফাঁসি চাই,
ধর্ষকের ফাঁসি চাই।
বাংলাধারা/এফএস/এআর