বাংলাধারা প্রতিবেদক »
করোনা সুরক্ষায় পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য করোনাভাইরাসের দেড় লাখ টিকা এলো চট্টগ্রামে।
রোববার (৩১ জুলাই) ভোরে টিকাগুলো চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছে। টিকাগুলো শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার পেডিয়াট্রিক ডোজ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ‘শিশুদের জন্য বিশেষ টিকার দেড় লাখ ডোজের প্রথম চালান চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। আমরা তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এখন সে প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া যেহেতু টিকাগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় সংরক্ষণ করতে হয়, তাই টিকাদান কার্যক্রম কোথায় কিভাবে চালানো হবে তাও নির্ধারণ করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।’
এর আগে শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য করোনাভাইরাসের ১৫ লাখের বেশি ডোজ টিকা দেশে এসেছে। শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা কোভিড টিকার এটাই প্রথম চালান। এই টিকা কোভ্যাক্স থেকে এসেছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান ডা. মো. শামসুল হক জানান, শনিবার সকালে ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা এসেছে।
তিনি বলেন, ‘এটা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার পেডিয়াট্রিক ডোজ, অ্যাডাল্ট ডোজ নয়। শিশুদের টিকা প্রয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। শিগগির স্থান ও সময় জানানো হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) সূত্রে জানা গেছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মতো পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরও স্কুলগুলোতে কেন্দ্র করে ফাইজারের এই বিশেষ টিকা দেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে তালিকার মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে এবং স্কুলে টিকা দেওয়ার পর যারা স্কুলে যায় না, তাদের জন্য ক্যাম্পেইন করে টিকা দেওয়ার কথা জানা যায়।
করোনা থেকে সুরক্ষায় শিশুদের দুই ডোজ করে টিকা প্রদান করা হবে।
বাংলাধারা/এসআরটি