পৌষের শেষ সময় চলছে। প্রকৃতিতে শীতের হিমেল অনুভূতি। কনকনে শীত উপেক্ষা করে কক্সবাজারে উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। বরিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
কক্সবাজারের ৪টি সংসদীয় আসনে ৫৫৬টি ভোটকেন্দ্রের ৩ হাজার ৫০৭টি বুথে একযোগে ভোটগ্রহণ চলছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোন গন্ডগোলের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, সকল কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি কম।
আসনগুলোর সিংহভাগ ভোটকেন্দ্রকেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বা অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেভাবেই নিরাপত্তা বলয়ে আগলে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর হতে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়। স্ব স্ব কেন্দ্রে চলেযান দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পুলিশ, আনসার ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাগণ।
এদিকে, শনিবারও আনাচে-কানাচে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামসহ প্রশাসনের উর্ধতনরা। ভয়ভীতির উর্ধে উঠে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে দায়িত্বরত সবার প্রতি নির্দেশনা দিয়ে আসেন তারা।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৮টি। ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ জন।
কক্সবাজার-২ আসনের (মহেশখালী ও কুতুবদিয়া) মহেশখালীতে ৮১ও কুতুবদিয়ায় ৩৭ টি মিলিয়ে ১১৮ কেন্দ্র। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২৭ জন।
কক্সবাজার-৩ আসনে (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) মোট ১৬৭ ভোটকেন্দ্রে রামুতে ৬৪টি, কক্সবাজার সদরে ৭৬টি ও ঈদগাঁওয়ে ৩৬টি। এ আসনে ৯০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানান কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. রাকিবুজ্জামান। এই আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০।
কক্সবাজার-৪ আসনে (উখিয়া, টেকনাফ) ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১০৪টি। এর মধ্যে টেকনাফে ৫৭টি এবং উখিয়াতে ৪৭টি। টেকনাফে ১৪ কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৪ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ আর উখিয়ার ৪৭টি কেন্দ্রের ৯০ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে সেভাবে প্রস্তুতি নেয়া হয়। এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭১ জন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ৪ আসনে মোট ভোটার ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯৬০ জন। জেলায় সাড়ে ১৬ লাখে অন্তত ৪ লাখ সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। অধিকাংশ সংখ্যালঘু ভোটারের বসবাস কক্সবাজার পৌরসভা, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু ও চকরিয়া উপজেলায়। নির্ভয়ে সংখ্যালঘু ও নারী ভোটাররা কেন্দ্রে যাচ্ছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ৫৫৬টি কেন্দ্রের সব কটিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে যা করা প্রয়োজন, আমরা তার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই কিংবা গোলযোগের সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। কেন্দ্রে নিয়মিত শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে রয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটগণ। খোলা রয়েছে কন্ট্রোলরুম।