১২ জুলাই ২০২৫

শুরু হলো বিজয়ের মাস

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

শুরু হল বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জন হওয়ায় বেদনাবিঁধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর।  নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এ মাসেই মুক্তির স্বাদ পায় দুর্বিনীত প্রাণশক্তির বাঙালি।

এ মাসে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির সামাজিক, রাজনৈতিক,ও অর্থনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরন হয় ।

১৯৪৭ এর ১৪ আগস্ট জন্ম হয় পাকিস্তান নামক একটি ভ্রান্ত রাষ্ট্রের। প্রথম থেকেই পাঞ্জাবি কায়েমি স্বার্থে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হতে শুরু করে বাংলা ।

স্বাধীনতা যে অর্জন করতে হবে নব-জাগ্রত বাঙালি এ কঠিন সত্য উপলব্ধি করতে পারলেন ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। নানা ঘটনা পেরিয়ে একাত্তর এলো বাঙালির জীবনে।

মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকন্ঠ শুনে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ল বাঙালি।৩০ লাখ মানুষের রক্ত, ৪ লাখ নারীর সম্ভ্রম, ১ কোটি মানুষের দেশ ত্যাগ এবং বিপুল সম্পদ ধ্বংসের ওপর দাঁড়িয়ে জনযুদ্ধের মাধ্যমে জয়লাভ করলো বাঙালি।

বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয়  অর্জিত হয় ১৬ ডিসেম্বর । এদিন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজি ও তার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খন্ড। আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়।

এদিকে, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিজয়ের মাস ।মহান এ বিজয়ের মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন