তারেক মাহমুদ »
আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে দিন দিন এই শিশুরাই নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। সেই সাথে নেই এর কোন সুনির্দিষ্ট প্রতিকার। যাদের হাতে আজকে কলম নিয়ে যুদ্ধ করার কথা, তারাই আজ স্কুল ফাঁকি দিয়ে যুদ্ধ করছে নেশার জন্য। আর বিভিন্ন দোকানীরা ই-সিগারেট সরবরাহ করে স্কুল পড়ুয়া শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ না দিয়ে নেশাগ্রস্থ হতেই উৎসাহিত করছে। শুধু হাটহাজারী উপজেলায় নয়। ই-সিগারেট বিক্রির এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে নগরীর বিভিন্ন দোকানগুলোতে।
সম্প্রতি হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ ‘বিভিন্ন স্কুলগামী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরাই মূলত ই-সিগারেটের ক্রেতা’ এ মর্মে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সাথে সাথে হাটহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর পৌণে ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
রুহুল আমিন বাংলাধারাকে জানান, স্কুল ফাকি দিয়ে দলবেঁধে ই-সিগারেট পান করছে শিশুরা। অতঃপর বড় ভাইয়ের সান্নিধ্য সর্বশেষে কিশোর গ্যাং এ জড়িয়ে পড়ছে।
তিনি জানান, আজ চারটি দোকানে অভিযানে গেলে দোকানিরা জানান, মূলত ১৪ থেকে ১৫ বছরের কিশোররাই এ ই-সিগারেটের ক্রেতা। তারা দোকানীকে আরও বলে,বেশি দামের ই-সিগারেট আনবেন। অনেক দোকানদার এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, তারা বাচ্চাদের কাছে ই সিগারেট বিক্রি করে অন্যায় করেছেন। তাদেরও সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে।
ইউএনও আরো জানান, কিশোরদের অধঃপতন রোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন: https://youtu.be/SQCQjXx7Wp4
বাংলাধারা/এফএস/টিএম