সন্দ্বীপ প্রতিনিধি »
সাগরের পানিতে ভেসে একটি পণ্যভর্তি কন্টেইনার ভেসে সন্দ্বীপ উপকূলে আটকে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫’ই আগষ্ট) সন্ধ্যা নাগাদ মগধরা ইউনিয়নের ০৫ নাম্বার ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালে একটি কন্টেইনার ভেসে আসে।
স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করে জানাযায়, গতকাল সন্ধ্যা নামার কিছুক্ষণ পূর্বে ছেলেপেলেরা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালপাড়ে হাটতে গেলে খালের ভিতরে একটি কন্টেইনার দেখতে পায়, পরে স্থানীয় বয়োবৃদ্ধরা গিয়ে দেখেন খালের মাঝামাঝি পানিতে ডুবে আছে একটি কন্টেইনার।
স্থানীয় বাসিন্দা ডাঃ জগন্নাথ দে বাংলাধারা’কে বলেন, কন্টেইনারটি দেখে পন্যভর্তি বলেই তাঁরা ধারণা করেন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে তিনি সন্দ্বীপ থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন।
সন্দ্বীপ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শরিফুল আলম জানান, মগধরা ০৫ নাম্বার ওয়ার্ড সংলগ্ন খালে একটি কন্টেইনার ভাসছে মর্মে খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই এবং খালের মাঝে একটি কন্টেইনার দেখতে পাই, ধারণা করা হচ্ছে কন্টেইনারটি পন্যভর্তি। গত কিছুদিন আগেও সন্দ্বীপের দক্ষিণ পূর্ব অংশে দুটি এবং পশ্চিম অংশে একটি কন্টেইনার ভেসে আসলে আমরা সেগুলো মালিক কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি।
তিনি বলেন, গতকাল ভেসে আসা কন্টেইনারটি এখন সন্দ্বীপ থানার জিম্মায় আছে এবং কন্টেইনার কোম্পানি CMA-CGM কন্টেইনার লাইন্স’র সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে যাতে ভাড়ার সিরিয়াল জেনে যথাযথ কতৃপক্ষকে তাদের কন্টেইনার সন্দ্বীপ পাওয়া গিয়েছে মর্মে অবহিত করে কন্টেইনারটি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, আশা করছি আজকের ভিতরে ভেসে আসা কন্টেইনারটি মালিক কতৃপক্ষের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবো। তবে প্রাথমিকভাবে করিম গ্রুপের কন্টেইনার বাহী ভেসেল কেএসএল গ্লাডিয়েটর হতে সাগরে ছিটকে পড়া কন্টেইনার বলেই ধারণা করা হচ্ছে, কারণ কিছুদিন আগে বৈরী আবহাওয়ার কেএসএল গ্লাডিয়েটর হতে কিছু কন্টেইনার সাগরে ছিটকে পড়ে যার সবগুলো এখনও পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, সাগরে পণ্যবাহী নৌ পরিবহনগুলো আরও বেশি সজাগ সচেতন হওয়া জরুরী কারণ সন্দ্বীপ এবং সন্দ্বীপ চ্যানেলের আশপাশ ঘিরে বহু যাত্রীবাহী নৌযান প্রতিনিয়ত চলাচল করে আর এভাবে সাগরে ভাসমান কন্টেইনার গুলো সেক্ষেত্রে ভয়াবহ বিপদের কারণ হতে পারে, ঘটে যেতে পারে প্রাণহানী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তাল সমুদ্রে একটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ থেকে ৪৪ টি কন্টেইনার ছিটকে সন্দ্বীপ চ্যানেলে পড়ে যায়।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর