ksrm-ads

১৯ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে সবুজ বিপ্লব ঘটানোর বড় উদ্যোগ, গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বসুন্ধরা গ্রুপ

বাংলাধারা প্রতিবেদন  »

সবুজ শিল্প বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। দুটি ব্লকে প্রায় এক হাজার একর জায়গাজুড়ে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা (গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি) গড়ে তোলার মাধ্যমে এই বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা)। এতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি দেশের শিল্প খাতের জন্য মডেল হিসেবে কাজ করবে। ইতিমধ্যে এ শিল্পনগরী ঘিরে আশপাশের এলাকাগুলোতেও গড়ে উঠছে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীর সঙ্গে যুক্ত হবে চট্টগ্রামে নির্মিতব্য বে-টার্মিনাল। এতে সহজ হবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি। বিশেষ করে এই শিল্পনগরীতে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি রপ্তানি হবে বে-টার্মিনাল দিয়ে। এখন পর্যন্ত এ শিল্পনগরীতে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে জাপান, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী গণমাধ্যমগুলোকে বলেন, এটি একটি বিস্তৃত শিল্পনগরী। এখানে সব ধরনের ভারী শিল্প স্থাপিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্যাপক বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শিল্পনগরীটির অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর।’

এতে অল্প সময়ের মধ্যে দেশের রপ্তানি আয় কয়েক গুণ বাড়বে বলে মনে করেন পবন চৌধুরী। এই আয় দেশীয় অর্থনীতির প্রসার ও জিডিপিতে যুক্ত করবে নতুন মাত্রা।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীর সবুজ অংশে ৫০০ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত হচ্ছে বসুন্ধরা শিল্পাঞ্চল। এই শিল্পনগরীতে জমি বরাদ্দ পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বসুন্ধরাই সর্বপ্রথম ভারী শিল্প স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলেছে শিল্প-কারখানা স্থাপনের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে প্রশাসনিক ভবনের বেইজমেন্টের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সম্পন্ন হয়েছে ডরমেটরি ভবনের দোতলার ছাদ। আর বসুন্ধরা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সিভিল কাজ শুরু হবে আগামী মাসেই। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু হবে এই কারখানায়।

বেজা সূত্র জানায়, সবুজ শিল্পনগর নির্মাণের একটি পৃথক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। এর মধ্যে ৫০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা) দেবে বিশ্বব্যাংক। বেসরকারি বিনিয়োগ ও ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ (প্রাইড) শীর্ষক এক প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করছে এই অর্থ।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ