সাংবাদিক নাজমুল আলীম সাদেকীর পিতা মিরসরাই লতিফিয়া কামিল মাদরাসার আরবি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মাওলানা বাকী বিল্লাহ সাদেকী আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়াস্থ নিজ ঘরের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত মাওলানা বাকী বিল্লাহ সাদেকী মিরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সৈদালী এলাকার বাকি বিল্লাহ সাদেকী বাড়ির মাওলানা হাবিবুল্লাহর ছেলে। তিনি মিরসরাই লতিফিয়া কামিল মাদরাসার আরবি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের হযরত গফুর শাহ (রঃ) জামে মসজিদের খতিব ছিলেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাওলানা বাকী বিল্লাহ সাদেকী স্থানীয় বাজার থেকে প্লাস্টিক নিয়ে বাড়িতে আসেন। এরপর ঘরের ছাদে গিয়ে লাকড়ির রাখার ঘরে বৃষ্টির পানি না ঢুকার জন্য প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেয়ার সময় অসাবধানতাবসত পা পিছলে ছাদ থেকে নিচে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে উদ্ধার করে মিরসরাই পৌর সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মিরসরাই লতিফিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একরামুল হক বলেন, মাওলানা বাকী বিল্লাহ সাদেকী দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর অত্র মাদরাসার আরবি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। উনার অসংখ্য ছাত্র দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত রয়েছে। মাওলানা বাকী বিল্লাহ সাদেকী হযরত গফুর শাহ (রঃ) জামে মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মায়ানী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াছিন উল্যাহ। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘরের ছাদ থেকে নিচে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মিরসরাই সদরের মাতৃকা হাসপাতালে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টায় তাঁর মৃত্যু হয়। আজ রাত ১০ টায় উপজেলার বড়তাকিয়া জামে মসজিদে নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মাওলানা বাকী বিল্লাহ সাদেকীর মৃত্যুতে মিরসরাইবাসী একজন বিজ্ঞ আলেমকে হারিয়েছেন। তাঁর ৩ ছেলে ও ২টি কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।