ksrm-ads

৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

সাংবাদিক পরিচয়ে প্রবাসীকে মাদক ও মানবপাচারী বলে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের চেষ্টা!

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

মাদক ও মানবপাচারকারি দলের সদস্য হিসেবে থানায় অভিযোগ থাকার কথা বলে এক প্রবাসীকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। বুধবার দুপুরের দিকে সদ্য বিদেশ ফেরত ওই প্রবাসীকে ফোন দেয়া দুর্বৃত্তরা নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ব্লাকমেইলের শিকার প্রবাসী জিয়াউল হক।

তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের মধ্য পোকখালীর মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে ও সৌদি প্রবাসী।

অভিযোগে জিয়াউল হক উল্লেখ করেছেন, বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ০১৯০৬০১৬৬৮০ ও ০১৮১৮০৪৯১৫৪ এ নাম্বার দুটি থেকে তার (জিয়াউল হকের) ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বারে কল দেয় এক দুর্বৃত্ত। ফোন দিয়ে বলেন, আমি (জিয়াউল) বাংলাদেশী নই। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তিন নারীর সাথে যুক্ত হয়ে মানবপাচারসহ নানা অপরাধকর্ম করার অভিযোগ রয়েছে আমার বিরুদ্ধে। আমার এক সহযোগীর নাম রাবেয়া। এসব বিষয়ে সদর থানায়ও অভিযোগ রয়েছে। আমি নাকি সংবিধান বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত। এসব বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন হবে। বাঁচতে চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে। অন্যথায় পুলিশ বা র‌্যাব দিয়ে ধরে আনার হুমকি দেয়।

তিনি আরো বলেন, তাকে সামনে এসে কথা বলতে বলার পর লাইন কেটে দেয়। এরপর থানায় বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করার পর কর্তৃপক্ষ লিখিত দিতে বলায় অভিযোগটি দেয়া হয়েছে।

জিয়াউল হক বলেন, আমি ফাজিল পাশ করে ২০০৪ সালের দিকে সৌদি আরব চলে গিয়েছিলাম। সেখানেই চাকুরির পাশাপাশি বিয়ে করে ভালই চলছিল। কিন্তু সন্তান বড় হয়ে যাওয়ায় পড়ালেখা করাতে পরিবারসহ মাস তিনেক আগে একেবারে চলে এসেছি। পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের লাগোয়া আমার বাড়ি। সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে বাড়ির চাষাবাদ ও জমিজমা দেখভাল করছি। একটা ফার্মেসী বা অন্য কোন ব্যবসা করার পরিকল্পনা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের পরিবারের সবাই শিক্ষিত। কেউ শিক্ষকতা, কেউ ব্যবসা করে জীবন ধারণ করছে। এলাকায় সুধীজন হিসেবে আমাদের সুনাম রয়েছে। যেকোন অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর অভ্যাস রয়েছে আমাদের। আমি অপরাধমূলক কাজ করলে প্রশাসন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। কিন্তু মহৎ পেশা সাংবাদিকতাকে ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলিং সত্যি দু:খজনক।

তিনি আরো বলেন, প্রশাসন দুর্বৃত্তচক্রটিকে সনাক্ত করতে পারলে আমি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। এটি না করলে সৃজনশীল পেশাটাকে অপরাধের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চেষ্টা চালাবে দুর্বৃত্তরা।

এদিকে, অভিযোগের কপি পাওয়ার পর বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাম্বারগুলোতে কল দেয়া হয়। কিন্তু তাতে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আমরা দুর্বৃত্তকে সনাক্তের কাজ শুরু করেছি।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন