ksrm-ads

২২ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দিরে নরেন্দ মোদি

বাংলাধারা ডেস্ক  »

বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরীপুর গ্রামে এসেছেন। সেখানে রাজা লক্ষণ সেনের আমলে প্রতিষ্ঠিত যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় নেওয়া হয় গোটা ঈশ্বরীপুর এলাকা। সড়কের ধারে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড। সেখানে উড়ছে দুই দেশের পতাকাও।

শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে ঈশ্বরীপুরের এ. সোবহান হাইস্কুল ময়দানে অবতরণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রায় ৯০০ মিটার দূরে মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছান। সেখানে তিনি শক্তিপীঠে পূজা দেন। পরে বিশেষ হেলিকপ্টারে তাঁর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে।

যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরটি ভক্তদের কাছে ‘শক্তি দেবতা’র মন্দির। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাংলাদেশ সফরের শেষ দিনে আজ ঈশ্বরীপুর গ্রামে গিয়ে এই যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে পূজা দেন।

মন্দিরে পূজা দেওয়া শেষে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এই শক্তিপীঠে এসে মা কালীর চরণে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পেয়েছি। মানবজাতিকে কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত করার জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এ খবর জানিয়েছে।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘যখন এখানে মা কালীর মেলা আয়োজন করা হয়, তখন সীমান্তের ওপার (ভারত) থেকে এবং বাংলাদেশের নানা প্রান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন। এখানে একটি বহুমুখী কম্যুনিটি হল থাকা প্রয়োজন, যাতে করে এখানে কালীপূজার সময় আসা ভক্তদের কাজে লাগে।’

‘এ ছাড়া কম্যুনিটি হল থাকলে বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো- কম্যুনিটি হল থাকলে তা ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিপর্যয়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ভারত সরকার এই (কম্যুনিটি হলের) নির্মাণকাজ করবে। বাংলাদেশ সরকারের এ কাজে আমাদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি’, যোগ করেন মোদি।

এর আগে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন