ksrm-ads

১৫ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ফের স্থগিত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আবারও পিছিয়ে গেছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চট্টগ্রামের আদালতে তাকে হাজির করতে পুলিশ প্রটেকশন পাওয়া যায়নি, যার ফলে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার রেজিস্ট্রি অফিসের দুইজন কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও আসামিকে আদালতে না আনতে পারায় সেটি সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতকে পাঠানো এক চিঠিতে জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আবদুর রহমান বদির চট্টগ্রাম স্থানান্তরের জন্য পুলিশ প্রটেকশন চাওয়া হলেও সেটি পাওয়া যায়নি। তাই আদালতকে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৭ সালে ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০০৮ সালে তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তবে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে দীর্ঘদিন মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ২০১৭ সালে আপিলের পর মামলাটি সচল হয় এবং ২০২০ সালে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্ট বদির আপিল খারিজ করলে ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তবে বারবার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর কারণে মামলার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর ইসলামী ব্যাংকের টেকনাফ শাখার দুই সাবেক কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আবদুর রহমান বদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রফিক বলেন, “ঢাকায় কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও বদিকে সেখানে পাঠানো হয়েছে শুধুমাত্র হয়রানির জন্য। এর আগেও একবার একই কারণে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়নি। এখন আদালতের নির্দিষ্ট বিচারকও নেই, বদিও নেই, ফলে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখও ঠিক হয়নি।”

গত ৩০ জানুয়ারি মামলার দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কবির উদ্দীন প্রামাণিককে বদলি করে ঢাকায় পাঠানো হয়, যার ফলে বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন।

আবদুর রহমান বদি কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। মাদক সংশ্লিষ্টতা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিনি বরাবরই আলোচনায় ছিলেন। পুলিশের নিরাপত্তা জটিলতায় তার মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়ায় বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

আরও পড়ুন