সামিহা মাহাদিয়া রাইদা»
‘সাধারণ সুন্দর আদর্শ দিতে চেয়েছো তুমি তাদের,
তবে তোমার আদর্শ স্পর্শ করতে পারেনি তাদের।
তুমি চেয়েছো তারা যেন আঘাত না করে ফুলের পাপড়িকেও,
তবে তারা যে আঘাত করে যাচ্ছে তাদের,
যারা গ্রহণ করেছে তোমার আদর্শ।
তোমার ছত্র-ছায়ায় থেকে করছে যারা বিশ্বাসঘাতকতা,
তবে তাদের কেন রাখছো তুমি, কষ্ট পেয়ে যথাতথা।
বলছি সবাই মুখে মুখে, “দেশ আমাদের মায়ের মতো”,
তবে মানছে না তা মন থেকে মা, বুঝতে পেরেছ কি তুমি এখনো ।
তোমার ভাষায় মিশে গেছে মা বিদেশি ভাষার সুর,
সেই সুর যদি আজ বাদ দেওয়া হয়,
তবে হয়না তোমার ভাষা ভরপুর।
নাচছে গান গাইছে মিছিল করছে স্বাধীনতা, শহীদ বিজয় দিবসে,
স্মরণ করছে কি তাদের?
যারা লড়াই করে জীবন দান করেছেন তোমার জন্য;
বিজয়ের আলো কমে আসছে আজ, তোমায় অসম্মানই হল এর কারণ।’
(সামিহা মাহাদিয়া রাইদা, চট্টগ্রাম নগরীর মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি এই ছোট বয়সে লিখেন কবিতা। এছাড়া অবসর সময়ে পেন্সিল কিংবা রং তুলি দিয়ে আঁকেন বিশিষ্টজনদের ছবি। একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি সাহিত্যের ভাঁজে ভাঁজে থাকা বইগুলোও পড়ার চেষ্টা করেন এই বয়সেই। লিখেন ছোট ছোট কবিতা, আর সেই কবিতা যখন নিজেই আবৃত্তি করেন তখন পরিবারের মা,বাবা যেমনিভাবে গর্ব করেন তাদের সন্তানকে নিয়ে ঠিক একইভাবে রাইদাও যেন অনুপ্রেরণা পান সামনে এগিয়ে যাওয়ার। পরিবারের এমন সমর্থনে নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলেন এই কিশোরী । তার বাবা একটা সময়ে লিখালিখি করতেন বিভিন্ন বিষয়বস্তু নিয়ে আর সেই ধারাটাই যেন তারি ছোট মেয়ে রাইদা রপ্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় রাইদা লিখছে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া যেকোনো বিষয়বস্তুর উপরে কবিতা। নিজ দেশের প্রতি সবারইতো একটা ভালো লাগা, টান রয়েছে। সেই জায়গা থেকে দেশের প্রতি আদর্শের কথার সূত্র ধরে লিখেছে এই কবিতা।)
বাংলাধারা/এফএস/এফএস