জীবন্ত সঙ্ ষাড়
জীবনের পাতা গুলো
পড়েছিলো স্যেঁত স্যেঁতে
ঘাঁমে ভেজা ল্যেপ্টে,
কারা যেনো গুনগুন,
কানাকানি ফুসঁফাঁস
চেয়েছিলো আঁড় চোখে
একপায়ে ঘাঁপটে !
জীবনের ইতিহাস এ
সবচেয়ে স্মরনীয় হয়ে —
মোরে আমরণ পিছু পিছু
হেঁটে চলে নির্বাক তবু যেনো
অশরীরী কেউ জানি,
ডাকি বলে পিছুটানি,
আমার জীবনগাঁথা শুনছোনি -(?)
ঘিচঘিচ অবিরাম
একজিমা, চুলকানি –
মলমের কৌটা’টা
থাকে বুক পকেটে !!
জীবনের ষোলকলা
পূর্ণতা লাভ পেলো,
পিচ্ঢালা জমকালো
দু’হাজার ষোল’তে !!
শহীদের কারবালার
প্রসূত ঐ নিকটে —
ভাষারই মাসেতে,
ফুরফুরে চঞ্চলা,
অবিরত ছুটে চলা,
এই আমি আচমকা পরিনত
তটস্থ (!), বাকহীন বোবা’টে !
জীবনের পাতা গুলো
পরতে পরতে জুড়া যতো —
সারল্যে চটপটে সারাক্ষণ শুধু
মোরে জ্বালাতন করিতো ।
বাস্তবতার মুখোমুখি
দ্বিধাণ্বিত স্বরূপে —-
নিরেট কোনোও নিথর,
অথচ জীবন্ত প্রাণীর মতো
অস্তিত্ব মজ্জাগত ঝাঁঝালো
উর্বর ব্যক্তিত্ব উপেক্ষিত —
কলঙ্ক লেপ্ট্যে স্বর্বস্ব কল্পলোকে
সারাক্ষণ অভুক্ত কূয়া’তে !
অবশিষ্ট নেই কোনো আর,
ঘিরে আছে মোরে যতোসব
দেউলিয়াপনাতে ——!!
আপনারে পর আপন
পরতে পরতে ম্যেলে দেব
সমগ্র বিশ্বের আপনাতে !!