ksrm-ads

১৩ জুন ২০২৫

ksrm-ads

সিটিস্ক্যানের ভুল রিপোর্টে রোগীর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার»

সিটিস্ক্যান রিপোর্ট ভুল দেয়ায় ‘সঠিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে’ বাবার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালের পরিচারক ডা. শাহ আলমসহ দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আল আমিন নামে এক ব্যক্তি।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবুল মনসুর সিদ্দিকীর আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী মিনারুল কবির আল আমিন কক্সবাজার শহরের ১২ নং ওয়ার্ডের লাইট হাউজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি মৃত মৌলানা আলমগীরের ছেলে। তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতবছরের ১০ অক্টোবর মারা যান।

বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস বলেন, যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিটি স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়া যেত তবে, অকালে আমার মক্কেলের পিতার মৃত্যু হতো না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা আর দায়িত্বহীনতা এরজন্য দায়ি।

এদিকে, বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গেল বছরের ৬ অক্টোবর সকালে তার পিতা মৌলানা আলমগীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সিসিইউতে ভর্তি দেয়। পরে বিভিন্ন শারীরিক পরিক্ষার পাশাপাশি সিটি স্ক্যান করে রিপোর্ট দেখানোর পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌরভ। কিন্তু সদর হাসপাতালের সিটিস্ক্যান সেবা না পেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে তার পিতাকে ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যান করা হয়। বিকেল অনুমান তিনটার দিকে ডা. ওসমানুর রশীদ স্বাক্ষরিত একটি রিপোর্ট সরবরাহ করা হয়।

রিপোর্টে তার অসুস্থ পিতার গুরুতর কিছু হয়নি, ব্রেইনে কোন সমস্যা নেই উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তারপরেও পিতার সুস্থতার কোন লক্ষ্মণ নেই দেখে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও আইসিইউতে ভর্তি দিয়ে সিটি স্ক্যানসহ বেশকিছু পরীক্ষা দেন চিকিৎসক। পরিক্ষার রিপোর্ট পেয়ে জানতে পারি বাবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। যা কক্সবাজারে সিটি স্ক্যান পরীক্ষায় ধরা পড়ে নি। পরে আমার বাবাকে আরো উন্নত চিকিৎসা সেবা পেতে ঢাকার শেরে বাংলা নিউরো মেডিকেল সাইন্স হাসপাতালে রেফার করে। সেখানেও একই পরীক্ষা করা হয়। তাদের রিপোর্টেও মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। ১০ অক্টোবর সকালে বাদীর পিতার মৃত্যু হয়।

বাদীর দাবি, ফুয়াদ আল খতিবের ভুল রিপোর্টের কারণে সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসা পায়নি তার বাবা। ফলে অসুস্থ পিতা অকালেই মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েছেন। যদি যথাসময়ে সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যেত তবে অকালে আমার পিতাকে হারাতে হতো না। এটি মূলত আল ফুয়াদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর লোভের কারণে হয়েছে।

তিনি বলেন, আসামিরা চিকিৎসক নামধারী অসাধু সম্পদলোভী, ধান্দাবাজ প্রকৃতির লোক। তারা অসুস্থ রোগীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে হয়রানি করে আসছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালের পরিচারক ডা. শাহ আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন