বাংলাধারা ডেস্ক »
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা পরিকল্পনা জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে টেকনাফ থানায় বসেই করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক লে.কর্ণেল আসিফ বিল্লাহ।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) র্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সিনহার হত্যা একটি পকিকিল্পত হত্যাকাণ্ড। এর মুল ভূমিকায় ছিলেন টেকনাফ থানার ওসি ওসি প্রদীপ দাস। সিনহা টেকনাফে তার সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে ভিডিও করার পরিকল্পনা করছিলেন। ওই সময় স্থানীয়রা সিনহাকে ওসি প্রদীপের ইয়ারা চোলাচালানসহ বিভিন্ন অপকর্মের কথা জানান।
পরবর্তিতে অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে মেজর সিনহা ওসি প্রদীপের সাক্ষাৎকার নিতে চান। এসময় সিনহার সহযোগীরা তার সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু ওসি প্রদীপ মেজর সিনহাকে এসব থেকে সরে আসতে বলেন। সিনহা রাজি না হলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
লে.কর্ণেল আসিফ বিল্লাহ আরো জানান, ওসি প্রদীপ বুঝতে পারেন তিনি বিপদে পড়তে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি মেজর সিনহাকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও পুলিশের তিন সোর্স নুরুল আমিন, আয়াত ও নিজামউদ্দীনকে নিয়ে টেকনাফ থানায় বসে একটি মিটিং করেন। ওই মিটিংয়ে মেজর সিনহাকে হত্যার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাধারা/এফএস/এইচএফ