বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার কুমিরা ঘাটঘর এলাকায় আসামি গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের সাথে এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে বলে জানা যায়। নিহত বৃদ্ধার নাম বেলাম্বু রানী জলদাশ (৫৮)।
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ চৌধুরী বাংলাধারাকে জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় সীতাকুন্ড থানার একদল পুলিশ কুমিরা ঘাটঘরের জলদাশ পাড়ায় এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে আসলে এলাকাবাসী তাতে বাঁধা দেয়। পরে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করলে পুলিশ আর এলাকাবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, সংঘর্ষে তিনজন পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
স্থনীয়রা জানিয়েছেন, সীতাকুন্ড থানার এসআই জাহেদ ও এসআই জসিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ জেলেপাড়ার নিরিহ এক ছেলেকে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করতে চাইলে এলাকাবাসী তাতে বাঁধা দেয়। উত্তেজিত এলাকাবাসী পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করলে থানা থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে এলাকাবাসীর উপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে ১০ জনরেও বেশি এলাকাবাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ ৩০ টিরও বেশি দোকান ও বাড়িঘর ভাংচুর করে বলেও অভিযোগ করে স্থনীয়রা।
সীতাকুন্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, সীতাকুন্ড থানার একদল পুলিশ মাদক মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করতে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশের আঘাতে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর গুজব রটিয়ে এলাকাবাসীকে উত্তেজিত করে পুলিশের উপর আক্রমন চালায়। তারা পুলিশের গাড়িও ভাংচুর করে। থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
তিনি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর