চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. হাবিব (৩৫) নামে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হলো।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৩৫ বছর বয়সী হাবিব।
নিহত হাবিব তিন বছর আগে ওই শিপইয়ার্ডে ফোরম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি জামালপুর সদর উপজেলার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন তিনি।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও পাঁচজন ভর্তি রয়েছেন। তারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকত উল্লাহ (২৩) আল-আমিন (২৩) ও মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫)।
এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেম ৭০ শতাংশ, বরকত উল্লাহ ৬০ শতাংশ, আল-আমিন ৮০ শতাংশ ও আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ডা. তরিকুল ইসলাম।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকার সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন এসএন করপোরেশন নামের জাহাজ ভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১২ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ ও গুরুতর আহত হন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে ঢাকায় আনা হয়। এর মধ্যে তিনজন ঢাকায় মারা যান।