দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি- বিশেষ করে নারী, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মতো প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য সমপর্যায়ের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ সহজগম্য এবং সমতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) উদ্যোগে আয়োজিত ‘গ্লোবাল স্কিলস ফোরাম’-এর কয়েকটি সেশনের মধ্যে ‘দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলায় বাংলাদেশের সাফল্য এবং সম্ভাবনা সম্পর্কিত’ সেশনে শিক্ষামন্ত্রী এসব তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের সিনিয়র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ছিলেন প্রধান উন্নয়ন অংশীদার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডা সরকারের প্রতিনিধিরা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষতা উন্নয়ন ও সবার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে হাতিয়ার বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ লক্ষ্যে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সব উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সবার জন্য ন্যায়সংগত কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। সরকার সাধারণ শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষের পাশাপাশি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার পাঠ্যক্রমে জীবন ও জীবিকা–সংক্রান্ত পাঠ এবং প্রয়োজনীয় জীবন অভিজ্ঞতার পাঠ সন্নিবেশিত হয়েছে। তা ছাড়া কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মান উন্নয়নে সরকার বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।
শিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিক বিনিয়োগের ফলে সাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানান। সাধারণ শিক্ষার মতো কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মেয়েদের হার ছেলেদের অংশগ্রহণের হারকে ছাড়িয়ে গেছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবো সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপসমূহের ফলে দক্ষতা উন্নয়নে গুণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে জানান। মহাপরিচালক হোংবো নারী শিক্ষার প্রসার ও মান বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন।