বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মংলা বন্দরের প্রসূর চ্যানেলসহ সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কার্গো নৌযান ডুবি যেন থামছেই না। প্রতি বছরই এক বা একাধিক কার্গো ডুবার ঘটনা ঘটেছে। গত ৮ বছরে পণ্যবাহী এসব নৌযান ডুবেছে অন্তত ১৩টি। যার ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে সুন্দরবনের পরিবেশের ওপর। আর এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
পরিবেশবিদরা সুপারিশ করেছেন, সুন্দরবন এলাকায় যেসব নৌযান চলাচল করে সেসব নৌযানের ফিটনেস ও চালকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
অন্যদিকে মংলা বন্দর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, দূষণ রোধে খুব শিগগির প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।
২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর শেওলা নদীতে তেলবাহী কার্গো ডুবিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে সুন্দরবনের প্রতিবেশ ও পরিবেশের। এখানেই শেষ নয় ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই আট বছরে সন্দুরবনের ভেতরে এবং প্রসূর চ্যানেলে অন্তত ১৩টি কার্গো ডুবেছে। এর মধ্যে কোনটিতে ছিল কয়লা, কোনটিতে সার, কোনটিতে তেল আবার কোনটিতে সিমেন্টের কাঁচামাল।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ডুবেছে আরও একটি কার্গো। একেরপর এক পণ্যবাহী জাহাজ দুর্ঘটনার পর পরিবেশবাদীদের দাবীর মুখে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নৌ চলাচল সীমিত করা হয়েছিল। তবুও দৃশ্যপট বদলায়নি, যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে সুন্দরবনে।
বাংলাধারা/এফএস/এআই