‘দেশের বনভূমির তুলনায় বনকর্মীর সংখ্যা অপ্রতুল। স্বল্প সংখ্যক বনকর্মী দিয়ে বিশাল বনভূমি রক্ষা অসাধ্য। তাই, বনের পাশের জনগোষ্ঠীকে বন রক্ষায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। কারণ, সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে বন ও বনভূমি রক্ষা অতি জরুরি। এটি অনুধাবন করতে পেরে বনায়ন বাড়াতে বন নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জন্য বিশ্ব ব্যাংক সুফল প্রকল্প চালু করেছে। এতে বিকল্প জীবিকায়ন পেয়ে বন সৃজনে ভূমিকা রাখছে সাধারণ মানুষ।’
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারে ‘উদ্ভাবনায় বন, সম্ভাবনায় বন’-এ স্লোগানে আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগের যৌথ উদ্যোগে দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা করা হয়। বিভাগীয় বন কার্যালয় হলরুমে উত্তর বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক ড. প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক আনিসুর রহমান, নেকমের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. শফিকুর রহমান, চ্যানেল আই’র স্টাফ রিপোর্টার সরওয়ার আজম মানিক, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দিপক শর্মা দিপু, যুগান্তর জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, সময়ের আলোর জেলা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম রাশেদ ও আবু সায়েম।
সভায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক শ্যামল কুমার ঘোষ, সহকারী বনসংরক্ষক শীতল পাল, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা ইশরাত ফাতেমা, কক্সবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা, সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, ভোমরিয়াঘানা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।