বাংরাধারা ডেস্ক
১৯৮৯ সালের ঘটনা। সেবছর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাবর্তন দিবসকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগের মিছিলে দুর্বৃত্তরা বোমাবর্ষণ করে। সেই ঘটনায় ১১ বছর বয়সী উত্তম বিশ্বাস নামে এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়।
এ বিয়োগান্তক ঘটনাটি তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি তিনি চট্টগ্রাম সফরে এসে পরিবারটির পাশে দাঁড়ান এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নিহত বালকের বাবা অমলকান্তি বিশ্বাসের কোনো সন্তান যদি চাকরির উপযুক্ত হয় তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
এরই আলোকে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে অমল কান্তি বিশ্বাসের দুই সন্তান সুলেখা বিশ্বাস ও মনোজ বিশ্বাসকে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর পদের নিয়োগপত্র তুলে দেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এ সময় মেয়র বলেন, আমাদের রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি মানবিক কর্তব্যবোধ পালন করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সব পরিবার লড়াই-সংগ্রামে অবদান রেখেছে এবং আত্মত্যাগ করেছে তাদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি এই মুজিববর্ষে গৃহহীনদের আবাসন সংস্থানসহ কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছেন। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এমনকি করোনাকালে যখন বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির চাকা স্থবির তখনও তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
নিয়োগপত্র দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।
বাংলাধারা/এফএস/এআই