ksrm-ads

২১ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

সেন্টমার্টিনে টেকসই পর্যটন উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে : পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

কক্সবাজার প্রতিনিধি  »

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সেন্টমার্টিন ও ছেড়াদ্বীপে জীববৈচিত্র্যসহ পরিবেশগত অবস্থার উন্নতি করতে সরকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও দ্বীপের জনপ্রতিনিধি এবং সচেতন সকলের সাথে আলোচনা করে তা বাস্তবায়ন করা হবে। দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ রক্ষার্থে সেন্টমার্টিনে অতিরিক্ত পর্যটক আসা নিয়ন্ত্রিত করা হবে। প্রতিদিন কতজন দ্বীপে পর্যটক ভ্রমণে আসবে, সেবিষয়ে সিদ্বান্ত নেয়া হবে শীঘ্রই।

শুক্রবার (১২ মার্চ) সেন্টমার্টিন ঘুরে এসে এসব কথা বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। এসময় দ্বীপের বিভিন্ন সমস্যা বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে মিলিত হন মন্ত্রী।

বৈঠকে মন্ত্রী আরো বলেন, দ্বীপের ভাঙ্গন রোধে, বেড়ি বাধঁ দেয়া যাবে কিনা সেটি বিশেষজ্ঞ ছাড়া বলা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং টেকসই পর্যটন উন্নয়নে সরকার দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা হাতে নিবে। শুধু সরকার নয়, দ্বীপ রক্ষার দায়িত্ব সবার। তাই দ্বীপের ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রম থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে।

এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ কে এম রফিক আহমদ, পরিচালক পরিকল্পনা ও সেন্টমার্টিন পকল্পের পরিচালক মো. সোলাইমান হায়দার, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী, সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার সাদ মোহাম্মদ তাইম, সেন্টমার্টিন বিজিবির অধিনায়ক মেজর আসাদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী সেন্টমার্টিনে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‌’প্রতিবেশগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ প্রকল্প’ এর বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন। পাশপাশি দ্বীপে নারিকেল গাছের চারা রোপনসহ বিভিন্ন জীববৈচিত্র্যের জাদুঘর পরির্দশন শেষে সমুদ্রে কাসিমের বাচ্ছা অবমুক্ত করেন।

এর আগে সকালে টেকনাফ পৌরসভাস্থল বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাট দিয়ে কোস্টগার্ড মেটালসার্ক যোগে সেন্টমার্টিন পৌছেন মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ, অপরিকল্পিতভাবে হোটেল-মোটেল নির্মাণ, নির্বিচারে গাছ কেটে বন উজাড় করা, প্লাস্টিকসামগ্রীর বর্জ্যসহ বিভিন্ন কারণে দ্বীপের নানা প্রজাতির প্রাণীকুল বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এ ছাড়া পর্যটকদের পানির চাহিদা মেটাতে বৈদ্যুতিক পাম্প বসিয়ে ভূগর্ভস্থ মিষ্টি পানি উত্তোলনসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ডের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে কোরালসহ জীববৈচিত্র্য।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন