৮ জুলাই ২০২৫

সেরা উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী সম্মাননা পেলেন সুমী কাসারী

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

সেরা উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ফ্রেন্ডস ভিউ স্টার অ্যাওয়ার্ড পেলেন সুমী কাসারী। ‘ফ্রেন্ডস ভিউ স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ এ তিনি সেরা উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী নির্বাচিত হন।

গত ২৮ মার্চ ৪র্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত ‘ফ্রেন্ডস ভিউ স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২১’। অনুষ্ঠানে প্রদান অতিথি ছিলেন আ. স. ম. ফিরোজ এমপি (পটুয়াখালী-২) ১০ম জাতীয় সংসদের চীফ হুইফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড.আলমগীর (ডিরেক্টর যমুনা গ্রুপ), হাবিবুর রহমান (ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডায়মন্ড অটোমেটিক রাইস মিল), ড. মেজবাউর রহমান (চেয়ারম্যান দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে), কামরুল ইসলাম (চেয়ারম্যান আমাদের আলোকিত সমাজ), ডা. এস চক্রবর্তী (চেয়ারম্যান এসপি হসপিটাল), রবি চৌধুরী (চেয়ারম্যান ফ্রেন্ডস ভিউ), সিরাজুল ইসলাম রুবেল (এমডি ফ্রেন্ডস ভিউ), রাজিব খান (সিইও ফ্রেন্ডস ভিউ), আরকে মন্ডল রবিন (এডভাইজার ফ্রেন্ডস ভিউ)।

সুমী কাসারী বলেন, ‘অনেক বেশি খুশি লাগতেছে, আমার দাদা সুকান্ত কাসারীকে পুরস্কারটি উৎসর্গ করতে চাই। কারণ উনি আমার পাশে থেকে সাপোর্ট দিয়েছেন সব সময়। আমার মা ছোটবেলা থেকে গাইডলাইন দিতেন। আমার বাবা থেকে ১ম গান শিখেছি, ছোট ভাই সব সময় মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনে মৌলিক গানের আলবাম বের করার ইচ্ছে আছে।’

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা সুমীর জন্মস্থান হলেও বেড়ে উঠা কক্সবাজারে। বাবা তপন কাসারী ব্যবসায়ী। মা জয়ন্তী কাসারী গৃহিণী। তিন ভাইবোনের মধ্যে সুমী মেজ। সাংস্কৃতিমনা পরিবারে সুমীর জন্ম। বাবা গান করতেন। তাই কিন্ডারগার্ডেনে পড়ার সময় থেকে সংগীত ভুবনে পা বাড়ানো। তাঁর ছোট ভাই শ্রীকান্ত ভালো গান ও নাচ করেন। বড়ভাই সুকান্ত একসময় সংগীতের বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন। দাদাই এ পর্যন্ত সুমীর সকল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন এবং সামনে চলার অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন বলে জানালেন সুমী।

পাঁচ বছর বয়স থেকেই বাবার কাছ থেকে সংগীতের ওপর তালিম নেওয়া শুরু করেন তিনি। এর কিছুদিন পর চকরিয়ায় সংগীত নিকেতন থেকে একাডেমিকভাবে সংগীত চর্চা শুরু করেন। সেখানে একটানা ক্লাস সেভেন পর্যন্ত উচ্চাঙ্গ, রবীন্দ্র, নজরুল ও দেশাত্মবোধক গান শিখেছেন। নিকেতনের গানের শিক্ষক মরহুম আব্দুল জব্বারের কাছ থেকে সংগীত জগতে হাতেখড়ি তাঁর।

২০১২ সালে সুমী এসএসসি পাস করেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া প্রি-ক্যাডেট গ্রামার স্কুল থেকে। এইচএসসি পাস করেন ২০১৪ সালে চকরিয়া মহিলা কলেজ থেকে। ক্লাস ফোরে পড়ার সময় জাতীয় শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় সুযোগ পান তিনি। এরপর জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সংগীতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংস্কৃতিক পরিষদ (বাফেসাপ) পদ্মকুঁড়িতে সেরা দশে গ্রুমিং প্রজেক্টে সুযোগ পান। যা বৈশাখী টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়। কলেজে পড়ার সময় চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতায় প্রথম রাউন্ডে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় রাউন্ডে একাডেমিক পরীক্ষার জন্য যোগ দিতে পারেননি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে এখানকার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন অঙ্গনে সংগীত শাখায় যোগ দেন। পাশাপাশি কিছুদিন আবৃত্তিও করেন। তবে সংগীতে পুরোদস্তরে কাজ করছেন। বর্তমানে এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের সংগীত নির্দেশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে সংগীতের উপর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। এই ভালোবাসা ও ভালোলাগার প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠানসহ গান করেছেন শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ