কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কুষ্টিয়ায় নির্মানাধীন জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙ্গে অবমাননার প্রতিবাদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে তৈরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৃহৎ বালু ভাস্কর্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও ১০০টি শান্তির পায়রা উড়িয়ে এ বালু ভাস্কর্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু তর্জনী উচিয়ে আছেন। উপরে লেখা হয়েছে-এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আর নিচে লেখা হয়েছে, সাগরের চেয়ে বিশাল তুমি।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ব্র্র্যান্ডিং কক্সবাজারের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরী ভাস্কর্য উদ্বোধনীতে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর আসনের সাংসদ সাইমুম সরোয়ার কমল, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী ও ব্রান্ডিং কক্সবাজারের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সিসি কমিটির সদস্য ইশতিয়াক আহমদ জয়।
বক্তারা বলেন, কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙ্গে চরম অবমাননা করা য়েছে। তার প্রতিবাদে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বঙ্গবন্ধুর বৃহৎ বালু ভাস্কর্য তৈরি করে কক্সবাজারবাসী এ বার্তা দেশবাসীকে দিতে চায় যে, পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন জাতির পিতার অস্তিত্ব থাকবে। একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী জাতির জনকের ভাস্কর্য অপসারণের যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে সেই অপচেষ্টা কখনো সফল হবে না। জাতির জনক থাকবে মানুষের হৃদয়ে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের কক্সবাজার সংবাদ প্রতিনিধি জাহেদ সরওয়ার সোহেলের সঞ্চালনায় উদ্বোধনীতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায়, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলি, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ন সাধারাণ সম্পাদক এড. রণজিত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এড. তাপস রক্ষিত, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান প্রমূখসহ হাজারো বঙ্গবন্ধু প্রেমী উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী ঘিরে সৈকতজুড়ে উৎসবের বর্ণিল আবহ ছড়িয়ে পডে। সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে আসতে শুরু করে। ভীড়ের মিছিলে ছিল পর্যটকরাও। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো হয় অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ। সাগরের বিশাল জলরাশির বুক ভেদ করে একদল তরুণ লাল সবুজের পতাকা নিয়ে জেডস্কীর মাধ্যমে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে। এসময় হাজার হাজার মানুষ বিজয়ের উচ্ছাসে মেতে উঠে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর