বাংলাধারা ডেস্ক »
সন্দ্বীপ উপকূলে স্পিডবোটডুবির ঘটনায় সমীর হোসেনের ছেলে মনির হোসেন ওরফে সৈকতের (১০) মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ডের টহল টিম। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উড়িরচরে সৈকতে ভেসে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে মরদেহটি পাওয়া যায়।
এর আগে একইদিন সকাল ৯টার দিকে উড়িরচর এলাকা থেকে আট বছর বয়সী শিশু আদিবার (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে নিখোঁজ তিন শিশুর মধ্যে দুইজনের মরদেহ পাওয়া গেলো। কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের লে. তাহসিন রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উড়িরচরে একটি ঝোপে আটকে থাকা ওমানপ্রবাসী মো. আলাউদ্দিন জমজ দুই শিশুকন্যার মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া যায়। জেলেরা মরদেহটি দেখতে পেয়ে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে ৮ বছরের শিশু আদিবার মরদেহ উদ্ধার করেন। ওই শিশুটির মা পান্না বেগম এসে মেয়েকে শনাক্ত করেন।
বুধবার দুর্ঘটনার পরপরই আলাউদ্দিন-পান্না দম্পতির বড় মেয়ে নুসরাত জাহানের (১৩) মরদেহ উদ্ধার হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছে আদিবার বোন আলিফা।
স্পিডবোটডুবির ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ঘাটের ইজারাদার ও স্পিডবোট চালককে গ্রেফতার-শাস্তি এবং সন্দ্বীপ যাতায়াত নিরাপদ করার দাবিতে উপজেলা কমপে¬ক্স এলাকায় মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা।
২২ যাত্রী নিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে ৩ শিশু নিখোঁজ হয় ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৮ জন তীরে উঠতে সক্ষম হন।