১৫ জুলাই ২০২৫

সোনাদিয়া চ্যানেলে ফিশিং ট্রলারে গণডাকাতি, সর্বস্ব লুট

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলারে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জলদস্যুবাহিনী জেলেদের মারধর করে ট্রলারে থাকা আহরিত বিপুল পরিমাণ মাছ, অর্ধশতাধিক জাল, মুঠোফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সোমবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ার পশ্চিমে ১৬ বিও নামক স্থানে মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতি শিকার হয় বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত আল্লাহর দান বোটের মালিক মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ।

ডাকাতির শিকার ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল দিয়ে আমাদের যৌথ অংশীদারি এফবি আল্লাহর দান সাগরে মাছ শিকারে যায়। গভীর সাগরে গত ১০-১১ দিন মাছ শিকার করে সোমবার রাতে তারা তীরে ফিরছিল। এমন সময় বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ার পশ্চিমে ১৬ বিও নামক স্থানে পৌঁছালে ডাকাতের কবলে পড়ে জাহাজটি। এসময় সশস্ত্র ডাকাতদল বোটের স্টোরে জমা বিপুল পরিমাণ ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ৫০টি জাল, মাঝিমাল্লাদের মুঠোফোন, অন্যান্য মূলবান পণ্য সামগ্রি লুট করে নিয়ে যায়। এসময় মাঝিমাল্লাদের প্রহারও করা হয়। পরে খালি বোট নিয়ে আহত মাঝিমাল্লারা মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে ফিরে আসে।

ট্রলার মালিক সেলিম উল্লাহ আরো বলেন, আমাদের বোটটি নতুন নামিয়েছি। প্রথমবারই সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে লুটের শিকার হলো। আমাদের হেড মাঝির বাড়ি নোয়াখালী। খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে এলাকায় আমাদের বোট মাছ শিকার করেছে ওটা বাঁশখালী লহর। সেখানে অন্য এলাকার ট্রলার মাছ শিকার করলে তাতে কৌশলে লুটপাট চালানো হয়। আমাদের ধারণা, মাঝি লহর বুঝতে না পারায় এ ক্ষতির মুখোমুখি হতে হলো।

তার বোটের মাঝিমাল্লাদের বরাতে তিনি আরো বলেন, এপবি আল্লাহর দানের মতো আরো কয়েকটি বোট লুটের শিকার হয়েছে। তারা কক্সবাজারের বাইরের বোট বলে ধারণা মাঝিমাল্লাদের।

কক্সবাজার মৎস ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিক নেতা জয়নাল আবেদীন হাজারী বলেন, সকালে ঘাটে আসা এফবি আল্লাহর দান ট্রলারের সকল মাঝিমাল্লার চেহারা বিধ্বস্ত। তাদের শরীরে মারের চিহ্ন দেখা গেছে। তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া মুঠোফোনে সকাল পর্যন্ত কল ঢুকেছে। এ লুটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের নামে এ অভিযোগ দেয়া হবে।

কক্সবাজার ট্রলার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ বলেন, মাছ আহরণ করে ফেরার পথে সাগরে আল্লাহর দান ট্রলারে ডাকাতির খবর শুনেছি। এটা আমাদের জন্য হেডেক। প্রায় সময় আমাদের অনেক বোট ডাকাতির শিকার হয়। ধার দেনায় মাছ শিকারে গিয়ে ডাকাতির কবলে পড়ে অনেককে নিঃস্ব হয়ে ঋণগ্রস্ত হতে হয়। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি।অভিযোগ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবা হবে।

আরও পড়ুন