বাংলাধারা ডেস্ক »
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় এক নৃত্যশিল্পীকে ‘গণধর্ষণের’ অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন আরও দুই যুবক।
আজ (২০ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সৌচারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সকালে ধর্ষণের ঘটনায় ওই নৃত্যশিল্পী বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিন জনসহ পাঁচ যুবকের নাম উল্লেখ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার সৌচারগাঁও এলাকার আব্দুল্লাহর ছেলে মাহমুদুল হাসান (২৩), কালীগঞ্জ এলাকার মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৪) ও ইলিহাসদি এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে সজিব মিয়া (২১)। আর পলাতক হলেন সানজিদ ও সিয়াম।
অভিযোগে জানা যায়, বন্দর উপজেলার লক্ষণখোলা এলাকার ওই নারী নৃত্যশিল্পীর (২৫) সঙ্গে মাহমুদুল হাসানের পূর্ব পরিচয় ছিলো। এর সূত্র ধরে মাহমুদুল হাসান নিজেকে একটি কোম্পানিতে চাকরিজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়ে সেই কোম্পানির বার্ষিক অনুষ্ঠান আছে এমন মিথ্যা কথা বলে নাচের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। ওই আমন্ত্রণে ১৯ আগস্ট সকালে ওই নারী মামুন নামে তার এক বন্ধুকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের দরিকান্দি এলাকায় যায়। সেখানে পৌঁছালে মাহমুদুল হাসানের বন্ধু সিয়াম ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে মামুনকে সেখান থেকে নিয়ে যায়। পরে অন্যান্য বন্ধুদের সহযোগিতায় মাহমুদুল প্রথমে ওই নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ করে। পর্যায়ক্রমে অন্য বন্ধুরাও ধর্ষণ করে। এসময় ওই নারী চিৎকার শুরু করলে মাহমুদুলসহ তার বন্ধুরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধারের পর ওই নারী প্রাথমিক চিকিৎসাগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, গণধর্ষণের মামলায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত যুবকেরা অপরাধ স্বীকার করেছে। তাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ওই নৃত্যশিল্পীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর