চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ ফেলে পালিয়ে যাওয়া অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ২ বছর আগে মাত্র কয়েক শতাংশ কাজ করে এরপর থেকে আর কোনো কাজ করেনি দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন। যার ফলে পর্যাপ্ত কক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এছাড়াও নানাবিধ অনিয়ম ও দূর্নীতির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের দক্ষিণ তৈলারদ্বীপ রেজিস্ট্রার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের দিকে। এর ভিত্তি প্রস্তুর করার পর কয়েক পাশে বেইজ নির্মাণ করে দীর্ঘ ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বিদ্যালয়ের পাশে পড়ে আছে ভবন নির্মাণের নানা যন্ত্রাংশ এবং মরিচা ধরেছে পড়ে থাকা লোহাগুলোতে। কিছু কিছু অংশে গর্ত হয়ে পানি জমে রয়েছে। সেখানে ঢালায় না করাতে রড দিয়ে বাঁধা অংশগুলো ঝুকিপূর্ণ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তারা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও তাদের এই বিদ্যালয় ভবনের কোনো সুফল পাচ্ছেনা। সবাই শীঘ্রই বিদ্যালয়ের ভবনটি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন চাই।
তারা আরও জানান,চার বছর আগে ২০২১ সালে ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণের কাজ হাতে পায়। কিন্ত ২ বছর ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে উধাও হয়ে যায়।
প্রতিষ্ঠানটির এপিএম সাইফুলকে ফোন করা হলে তিনি বলেন,আমি কাজ করেছিলাম। কিন্তু এখন সেই কাজে বর্তমানে আমি জড়িত নেই।এ ব্যাপারে আমি আমার সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের সাথে আলোচনা করে এসব বিষয় নিয়ে পরে কথা বলব।
এ বিষয়ে তৈলারদ্বীপ রেজিস্ট্রার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জয়নাব বেগম জানান,আমাদের ভবন না থাকায় পাঠদানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। তাঁদের শ্রেণি পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। এর কারণে আগের তুলনায় অনেক শিক্ষার্থীও কমে গেছে।
এবিষয়ে কথা বলতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুর রহমান ভূইয়াকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যাইনি।
এমএম/এএস/বাংলাধারা