বাংলাধারা প্রতিবেদক »
বিদ্যালয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ায় এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছেন মিয়া মো.হারুন খান নামে এক যুবদল নেতা। এসময় বিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি শিক্ষককে হত্যার হুমকিও দেন তিনি। গত ৩০ জুন ডবলমুরিং থানাধীন মনসুরাবাদ এলাকার খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (৩ জুলাই) মামলা দায়ের করার পর রাতেই প্রধান আসামি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মিয়া মো.হারুন খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘নিজাম উদ্দিন ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ এলাকার খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. একরাম মিয়া স্কুলে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চান। কিন্তু করোনার জন্য বন্ধ স্কুলে বিয়ের অনুমতি দেননি তিনি। তবুও অনুমতি ছাড়াই গত ২৫ জুন স্কুলে বিয়ের আয়োজন করেন তিনি। কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সে বিয়ে বন্ধ করে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর স্কুলে ‘মেয়ের বিয়ে হতে না দেওয়ায়’ শিক্ষকদের স্কুলে আসতে মানা করে দেন আসামিরা।
এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করলে গত ৩০ জুন পাঁচলাইশ-ডবলমুরিং থানা শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল আসে স্কুলে। এ সময় প্রধান শিক্ষকসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকও আসেন। তাদের আসতে দেখেই জোরপূর্বক স্কুলে ঢুকেন একরাম মিয়ার ভাই চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মিয়া মো. হারুন খান ও তার আরেক ভাই জানে আলম, মো, মাসুদ, মো. প্রিন্স এবং মো. আল নাহিয়ান। প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে টেবিলে থাপ্পড় মেরে ‘তাকে তুলে নেওয়ার’ হুমকি দেয়। এ সময় তাকে স্কুলের সভাপতি কর্নেল ‘বাঁচাতে পারবে না’ উল্লেখ করে হত্যারও হুমকি দেন। এ ঘটনায় গতকাল মামলা দায়ের করলে রাতেই প্রধান আসামি যুবদল নেতা মিয়া মো. হারুন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায় বলেও জানান ওসি মহসিন।
বাংলাধারা/এফএস/এআর