আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে যারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বিষয়ে শিগগরই নির্দেশনা আসবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৯ (কোতায়ালী-বাকলিয়া) আসনে নিজের মনোনয়ন ফরম জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নওফেল এ কথা বলেন।
৭ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে ২৯৮টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এর পর নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হওয়া ঠেকাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিকল্প (ডামি) প্রার্থী রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার হিড়িক পড়েছে।
সেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তালিকায় দলটির নতুন-পুরনো মুখ যেমন আছে, তেমনই বর্তমান সংসদ সদস্যরাও আছেন, যারা এবার নৌকার টিকেট পাননি। আবার রাজনৈতিক দলের বাইরেও অনেকে প্রার্থী হতে চাইছেন।
এতে নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্নে নওফেল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে একটি নির্দেশনা শিগগিরই দেবেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
নির্বাচন নিয়ে ‘একটা ষড়যন্ত্র’ চলছে মন্তব্য করে উপমন্ত্রী বলেন, বলেন, ‘সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাতে কেউ নির্বাচিত না হয়, সেটা কীভাবে করা যায় এরকম একটা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা সবাই যার যার মত ফ্রি স্টাইলে নির্বাচন করব।’
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে কোনো কৌশল দলের আছে কী না, সেই প্রশ্নে নওফেল বলেন, ‘এর আগে আমাদের এখানে ইভিএম মেশিনে ভোট হয়েছিল। ইভিএমে ভোটাররা একটু কম অভ্যস্ত। এবার ব্যালটে ভোট হবে। আশা করি ভোট বাড়বে।’