বাংলাধারা প্রতিবেদন »
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙে স্বাধীনতার চেতনার ওপর হামলা করা হয়েছে। স্বাধীনতার চেতনার ওপর যারা হামলা করবে তাদের রাজাকারদের মতো বিচার করা হবে।
তিনি বলেন, একাত্তরের জামায়াতে ইসলামের মতো করে এখন হেফাজতে ইসলাম নতুন রাজাকার হয়ে উঠছে।
সজীব ওয়াজেদ জয় মৌলবাদী শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী ও রাজাকারদের বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে তারা সাহস করেছে জাতির পিতার মূর্তি ভাঙার। তাদের এই সাহস! জাতির জনকের মূর্তির ওপর হামলা করাটা কী? এটা হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার চেতনার ওপর হামলা। আমাদের স্বাধীনতার চেতনার ওপর হামলা কারা করেছে, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তাদেরকে আমরা কী বলি? তাদেকে আমরা কী ডাকি, তাদেরকে আমরা রাজাকার ডাকি। একাত্তরে ছিল জামায়াত আর এখন হেফাজতও সেই নতুন রাজাকার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ‘
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনা আমরা কাউকে মুছে দিতে দেব না। স্বাধীনতার চেতনার ওপর যারা হামলা করবে তাদের রাজাকারদের মতো বিচার করা হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হবে। ‘
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘তারা হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানিয়ে দেবে! আমরা কি সেটা চাই? আমরা আবার সেই একটি মান্ধ্যাতা আমলের দেশ হয়ে যাব? সেটা আমরা হতে দেব না। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে আমরা সেটা হতে দেব না। আমাদের তরুণ-তরুণীদের পক্ষে আমি বলতে চাই, এই মৌলবাদী শক্তিকে আমাদের মুছে ফেলতে হবে। ‘
‘তারা যদি আফগানিস্তান এত পছন্দ করে তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দিয়ে আফগানিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি, বাংলাদেশকে আধুনিক করেছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল করছি সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে। রাজাকারদেরকে মোকাবিলা আমরা করতে জানি। ‘
আগামীতে ৫-জি ইন্টারনেট চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যেখানের থ্রি-জি ছিল না সেখানে আমরা এখন ফোর-জি চালু করে দিয়েছি সারা দেশে। আগামী বছরের মধ্যে আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে ফাইভ-জি চালু করা। ‘
এর আগে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক।
বাংলাধারা/এফএস/এআর