স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করেছে এক বন্দুকধারী। গুলি লাগার পর তিনি মাটিতে পড়ে যান। প্রথমে তাকে গাড়িতে করে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ফিকোকে হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হয় বানস্কা বাইস্ট্রিকা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরা।
বুধবার মধ্যাঞ্চলের হ্যান্ডলোভাতে একটি সরকারি বৈঠক শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় ফিকোকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়ে এক বন্দুকধারী। এ সময় একটি গুলি তার পেটে লাগে।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ফিকোকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়েছে। বর্তমানে তার জীবন হুমকির মধ্যে। পরের কয়েক ঘণ্টা গভীর পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।
স্লোভাকিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা টিএএসআর জানিয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ওপর এমন ‘জঘন্য ও বর্বর’ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জুজানা কাপুতোবা। তিনি বলেন, আমি হতভম্ব। আমি আশা করছি, ফিকো দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরবেন। একইসঙ্গে দেশটির মাটিতে এমন সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলেও হুঁশিয়ারি দেন জুজানা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বরে নির্বাচিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো স্লোভাকিয়া প্রধানমন্ত্রী হন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পুতিনকে সমর্থন করা ফিকো। ওই সময় ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
তাৎক্ষণিকভাবে ফিকোর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন টুইট করেছেন, প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর ওপর জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের সমাজে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। প্রধানমন্ত্রী ফিকো ও তার পরিবারের পাশে আছি।