ksrm-ads

১৯ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

হাইকোর্টের বিচারকাজ চলল মোমবাতির আলোয়

বাংলাধারা ডেস্ক »

জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা দুপুর থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টেও। বিদ্যুৎ না থাকলেও থেমে ছিল না উচ্চ আদালতের বিচারকাজ। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ-এ এজলাস কক্ষে মোমবাতি জ্বালিয়ে ও মোবাইলের আলোতে বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন বিচারপতিরা।

আদালতে উপস্থিত থাকা একাধিক আইনজীবী দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারকাজ পরিচালনা করছিলেন। দুপুরের দিকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে সুপ্রিম কোর্ট। এ সময় এনেক্স ভবনের জেনারেটরও বন্ধ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিচারকাজ বন্ধ না করে মোমবাতি জ্বালিয়ে এবং এজলাস কক্ষে থাকা আইনজীবীদের মোবাইলের লাইটের আলোতে বিচারকাজ চলতে থাকে। প্রায় সোয়া ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন মোমবাতি ও মোবাইলের আলোতে অনেক মামলা নিষ্পত্তি করেন সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জানতে চাইলে আদালতে উপস্থিত থাকা সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্যুৎহীন অবস্থায় অনেক কষ্ট স্বীকার করে মাননীয় দুজন বিচারপতি দীর্ঘ সময় বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা দুপুর থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এ বি এম বদরুদ্দোজা খান। তিনি বলেন, দুপুর ২টার দিকে পাওয়ার শাটডাউন হয়েছে। পাওয়ারের পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। কতক্ষণ লাগবে, কী কারণে হয়েছে-  তা এখনো বলতে পারছি না।

কোথায় এ ঘটনা ঘটেছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যমুনার এপারের (পূর্বাঞ্চলের) জেলাগুলোয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে বিদ্যুৎ নেই।

লোডশেডিং গত কয়েক মাস ধরে একটি স্বাভাবিক চিত্র। আজ দুপুরের দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর অনেকের বুঝে উঠতেও সময় লাগে যে, এটি জাতীয় গ্রিডের বিপর্যয়।

তবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে দুপুর থেকে দেশের বড় একটি এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল গ্রিড ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। আমার মনে হয় ২-৩ ঘণ্টার আগে হবে না, সময় লাগবে। আমরা রিকোভার করার জন্য চেষ্টা করছি। সন্ধ্যার মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি রিকোভার করার। অন্তত আমাদের যেসব সেন্সিটিভ এলাকা আছে, কেপিআইভুক্ত, ওইগুলোতে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে দেবো।

আরও পড়ুন