বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মেয়েটার বয়স ১৪ থেকে ১৫ বছর। মাস চারেক আগে অষ্টম শ্রেণীতে উঠেছে । তবে দেখলে মনে হবে আরও ছোটো। কনে সেজে বসে আছে, খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে। খবর নিয়ে জানা যায়, মেয়েটার খুব একটা ইচ্ছে ছিল না কনে সাজার।
খবর পেয়ে শনিবার (৪ মে) হাটহাজারী উপজেলার আলীপুর এলাকায় বিকাল ৩ টার দিকে এ বাল্যবিবাহ ঠেকালেন ইউএনও। মেয়েটির পিতার নাম- আব্রাহিম, মায়ের নাম- হিরা বেগম।
এত তাড়াতাড়ি কেন বিয়ে দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে একজন হুংকার দিয়ে বললেন, আমাদের কাছে আদালতের কাগজ আছে। আপনাকে ফোন নাম্বার দিচ্ছি, আদালতের সাথে কথা বলুন। একজন আইনজীবীর বানানো একটা কাগজ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রুহুল আমিন বাংলাধারাকে বলেন, মেয়েটির অভিভাবক জোর করে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করলে কনে পক্ষের এক ব্যক্তি আদালতের কাগজ আছে বললেও পরে তা আর দেখাতে পারেন নি। আদালতের সাথে ফোনে কথা বলা যায় আমি জানতাম না। মেয়ের মা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন এবং মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে ১৮ বছর বয়স হলে বিয়ে দিবেন বলে মুচলেকা দিয়েছেন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম/বি