বাংলাধারা প্রতিবেদন »
রাত সাড়ে ১০ টা। কণের বাড়িতে চলছে হৈ হুল্লোড়। মেয়ের বিয়ে বলে কথা। মেয়ের বয়সের দিকে তাকানোর সময় নেই। বিয়ে দিলেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে মেয়েদের অভিভাবকরা। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে এত রাতে বিয়ে বাড়িতে ছুটে যান ইউএনও এবং বন্ধ করে দেন বিয়ের আয়োজন।
সোমবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ১০ টায় হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মেয়েটির নাম- সীমা আক্তার (১৫)। সে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। সীমা মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার পিতার নাম – মো. সোহেল।
হাটহাজারী ইউএনও রুহুল আমিন বাংলাধারাকে বলেন, সীমাকে নাজিরহাটের ওসমানের সাথে বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত বিয়ে বাড়িতে ছুটে যাই এবং বিয়ে বন্ধ করি। মেয়ের বাবা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন এবং মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে ১৮ বছর বয়স হলে বিয়ে দেবেন বলে মুচলেকা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় একটি বাল্য বিবাহের চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন রুহুল আমিন।
রমজানে বাল্য বিবাহের আয়োজন, ঠেকালেন ইউএনও
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম