চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সমুদ্র সৈকতে শীতের কাঁপুনিও কমাতে পারেনি পর্যটকদের আগ্রহ। হাড় কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেও সৈকতে ভিড় জমাচ্ছেন হাজারো দর্শনার্থী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সৈকতজুড়ে ছিল পর্যটকদের আনাগোনা।
শনিবার (০৮) ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।এতে নিরাপত্তার পাশাপাশি রাতের জন্য লাইটিং ব্যবস্থা করলে আরও সৌন্দর্য্যতা বাড়বে বলে আশা করে স্থানীয়রা।
জানা গেছে গত কিছুদিন ধরে পারকি সমুদ্র সৈকতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সৈকতের নিচে থাকা দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়াতে প্রসংশনীয় হলেও পারকি বিচ ম্যানেজমেন্ট না থাকার কারণে সৈকত জুড়ে অপরিচ্ছন্নতা দেখা গিয়েছে।পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ লাইটিং এবং পারকি পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ শেষ না হওয়ার কারণে আবাসিক হোটেলের তেমন ব্যাবস্থা নেই পর্যটকদের।
সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক জিল্লুর রহমান জানান,এখানে এসে বেশ ভালোই লাগছে।আগের চেয়েও নিরাপদ জোরদার হওয়ায় পর্যটকের আগমন বেশি ঘটাবে।থাকার তেমন ভালো মানের হোটেল নেই।তবে শীতের তীব্রতা একটু কমলে মানুষ বেড়াতে বেশি আসবে।সৈকতে বাচ্চাদের নিয়ে গোসল করতে এসেছি।পরিবারের সবাই আনন্দ-উল্লাস আর ছোটাছুটিতে ব্যস্ত।
ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রিজোয়ান এর কর্মকর্তা স্বপন বলেন,আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।চট্টগ্রামের সব দর্শনীয় স্থানগুলোতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।আমরা পারকি সমুদ্র সৈকতে স্থায়ী ট্যুরিস্ট ক্যাম্প করার চিন্তা করতেছি আপাতত অস্থায়ী ক্যাম্প করে সৈকতের নিরাপত্তা জোরদার করতে সিদ্ধান্ত হয়েছে।আশাকরি ভবিষ্যতে এই পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকরা এসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের স্বাদ পাবে।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আকতার বলেন,আজকে আমি পারকি সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনে গিয়েছি।বিগত সময়ের চেয়ে পারকি সমুদ্র সৈকতকে একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে আমরা বিচ ম্যানেজমেন্ট আপ্রাণ চেষ্টা করতেছি।পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করতে আপাতত অস্থায়ী ট্যুরিস্ট পুলিশের ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।বিচের নিচের দোকানগুলোকে সরিয়ে নিতে রমজানের আগ পর্যন্ত তাদেরকে সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।এবং সৈকতকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে আমরা দুয়েকদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিব।