বাংলাধারা প্রতিবেদক »
জামায়াত শিবিরের চিহ্নিত ক্যাডার নাছিরের বিচার দীর্ঘায়িত না করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। এসময় তাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় সাক্ষির অভাবে আদালতে সাক্ষ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি এমন সংবাদ দেখে তিনি হতাশ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এসময় তিনি, নাছিরের ফাঁসির দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান করেন। এই মামলার একজন সাক্ষী মোশাররফ হোসেন। নাছিরের বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিচ্ছেন না, স্থানীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত এমন সংবাদের পর মোশাররফ হোসেন এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সেদিনের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, শিবিরের ক্যাডার নাছিরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার গাড়ি ঘিরে ধরে গাড়ি ভাঙচুর করে। আমার সামনে হারুন বশরকে নিজ হাতে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে নাছির। আমি বাধা দিলে তারা আমাকে সরিয়ে দেয়। এসময় আমাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। তখন দাম্ভিকতার সাথে নাছির বলল, আমার নাম নাছির, দেখে নেয়।
বিএনপির মদদে এই হত্যাকাণ্ড ও হত্যার চেষ্টা হয়েছিল বলে তিনি বলেন, সেসময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। মূলত বিএনপির মদদেই এই হত্যাকাণ্ড ও আমার গাড়িতে হামলা এবং হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
আদালতে সাক্ষ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি এমন সংবাদ দেখে তিনি হতাশ হয়ে বলেন, ‘আমি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। আমি ভুক্তভোগী। আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমি সাক্ষ্য দিয়েছি। প্রয়োজনে আবার দেব। নাছিরের মতো সন্ত্রাসীদের ফাঁসি হওয়া উচিত।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, কারও না কারও গাফিলতির কারণে বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। যার কারণে হচ্ছে, তার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
সংবাদ সম্মেলনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, সহসভাপতি পেয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, জসিম উদ্দিন শাহ, সদস্য বেদারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৮ই মে ফটিকছড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন বশর ও আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিন খুন করার পর ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বন্দুক তাক করেছিল শিবির ক্যাডার নাছির। ওই ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার চার্চসিট যুক্ত ২৬ জনের মধ্যে শিবির ক্যাডার নাছির উদ্দিন ১ নম্বর আসামী ছিলেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআই