ksrm-ads

১৭ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

হালদায় এক সপ্তাহে মরে ভেসে উঠল ৫ মা মাছ, এক ডলফিন

দূষণে, দখলে বিপর্যস্ত বিশ্বের অন্য প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ হালদা নদী। হুমকির মুখে হালদার জৈববৈচিত্র। মানবসৃষ্ট দূষণ ও ড্রেজারের আঘাতে হালদার বুকে একে একে মরে মা মাছ ও বিলুপ্ত প্রজাতির গাঙ্গেয় ডলফিন (শুশুক)।

৩০ জুন (রবিবার) হালদা নদীর রাউজান অংশে আজিমের ঘাট এলাকায় মরে ভেসে উঠেছে ১৯ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের একটি কাতাল মাছ। এনিয়ে গত এক সপ্তাহে হালদা নদী হতে ৪টি মৃত কাতাল মাছ, ১টি রুই মাছ ও ১ ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৫ জুন হালদা নদীর গড়দূয়ারা এলাকায় ৪১ তম মৃত ডলফিন ভেসে উঠে। যার ওজন প্রায় ৮৯ কেজি। ২৬ জুন উরকিরচর বাকর আলী ঘাটে উদ্ধার হয় ১০ কেজি ওজনের রুই মাছ। ২৮ জুন উত্তর মাদার্শার কুমারখালি ঘাটে ১৬ কেজি ওজনের ১ টি কাতাল মাছ, একইদিন সুলতানা বাপের ঘাটে ১০ কেজি ওজনের একটি কাতাল মাছ এবং এরপূর্বে উরকিরচর এলাকায় আরো একটি কাতাল মাছ উদ্ধার হয়।

এভাবে একের পর এক মা মাছ মরে উঠাকে হালদা নদীর জলজ বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করেন হালদা গবেষকরা।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত এক সপ্তাহে হালদা নদী থেকে ৫টি মৃত মা মাছ ও ১ টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। যা হালদা নদীর জলজ বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। হালদায় বর্তমানে মনুষ্যসৃষ্ঠ ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড যেমন: শাখাখালের মাধ্যমে হালদা সরাসরি ফেলা হচ্ছে ট্যানারীর বিষাক্ত বর্জ্য, ও অন্যান্য শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য, পোল্ট্রি বর্জ্য, গৃহস্থালী ও মানববর্জ্য, হালদা ও শাখাখালে অবৈধভাবে জাল, বঁড়শি ও বিষ ব্যবহার করে মাছ নিধন, অবৈধ বালু উত্তোলন ইত্যাদি বেড়ে চলছে। যা সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে হালদা জলজ বাস্তুতন্ত্রে। এমতাবস্থায় হালদা নদীকে মা মাছ, ডলফিন ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল করতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

আরও পড়ুন