ksrm-ads

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

হালদায় গত বছরের তুলনায় কমেছে ডিম সংগ্রহ

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

এশিয়ার বিখ্যাত প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদায় কার্প জাতীয় (রুই, কালতা, মৃগেল) মা মাছ ডিম ছেড়েছে। শনিবার রাতভর চার শতাধিক ডিম সংগ্রহকারী প্রায় ১২ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। ডিম আহরণের পর সংগ্রহকারীরা রেণু তৈরির কাজ শুরু করেছেন সরকারি তিনটি হ্যাচারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার রেনুর পরিমাণ কম।

শনিবার (২৫ মে) রাত নয়টা থেকে রোববার (২৬ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাউজান ও হাটহাজারী অংশে নদীর আজিমের ঘোনা, অংকুরি ঘোনা, রাম দাশ মুন্সীর ঘাট, সত্তারঘাট, মাছুয়া ঘোনা, কাগতিয়া, গড়দুয়ারাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ডিম সংগ্রহ চলে।

সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পূর্ণিমা-অমাবস্যার সময়ে পাহাড়ি ঢলের পানির সাথে বজ্রসহ বর্ষণ হলে এবং নদীর তাপমাত্র অনুকূলে থাকলে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউশ জাতীয় মা মাছ ডিম দেয়।

হাটহাজারীর উত্তর মাদরাসার ডিম সংগ্রহকারী মো. জামশেদ বাংলাধারাকে বলেন, গত শনিবার সারাদিন হাটহাজারী ও রাউজান অংশের হালদা নদীর বিভিন্ন ঘাটে নমুনা ডিম পাওয়া গেছে। রাত ৯ টার দিকে আস্তে আস্তে নদীর আজিমের ঘাট, অঙ্কুরীঘোনা, মদুনাঘাট, বাড়িয়াঘোনা, মাছুয়াঘোনা হাট, সিপাহীর ঘাট, গড়দুয়ারা এলাকায় ডিম সংগ্রহকারীরা ভালোভাবে ডিম পাওয়ার খবর দিতে থাকেন।

হালদা গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বাংলাধারাকে বলেন, এবছর ২৩০টি নৌকায় প্রায় পাঁচশ’র মতো আহরণকারী ডিম সংগ্রহ করেছেন। তবে গতবারের চেয়ে অনেক কম। গত বছর ডিম সংগ্রহ হয়েছিল ২২ হাজার ৬৮০ কেজি। আর সেখান থেকে রেণু পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ৩৭৮ কেজি।

প্রতি ৬০ কেজি ডিমে রেণু মিলবে এক কেজি। সে হিসেবে এবারে সংগৃহীত ডিম থেকে ২১৬ কেজির মতো রেণু হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাংলাধারাকে বলেন, হাটহাজারী অংশের তিন হ্যাচারির প্রায় ৩০ থেকে ৫০ জন ডিম সংগ্রহকারীর সাথে কথা বলে দুইটা জিনিস জানা যায়, ডিমের কোয়ালিটি ভাল অর্থাৎ ডিম হৃষ্টপুষ্ট এবং সকলেই সন্তুষ্ট অর্থাৎ সকলেই পর্যাপ্ত পরিমান ডিম পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, হালদার রেনুর সাথে স্থানীয় হ্যাচারির রেনু মিশিয়ে ভেজাল সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য দুইটা ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। সবাইকে সতর্ক থাকার এবং তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

সরকারি হিসাবে, ২০১২ সালে হালদা থেকে সংগৃহীত ডিমে রেণু মিলেছিল প্রায় ১৬শ কেজি, ২০১৩ সালে ৬২৪ কেজি এবং ২০১৪ সালে তা নেমে দাঁড়ায় পাঁচশ কেজিতে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম/বি

আরও পড়ুন