বাংলাধারা প্রতিবেদন »
হাটহাজারী উপজেলার এগার মাইল এলাকার কাছে পূর্ব মধ্যম দেওয়ান নগর এলাকায় গত (২৯ এপ্রিল) রেলসেতু ভেঙে ফার্নেস তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ট্যাংকার খালে পড়ে যার একটি থেকে তেল নির্গত হয়ে মরা ছড়া খালে। সে তেল তুলতে গিয়ে দেখা গেল মরা ছড়ার দুই পাড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সারি সারি খোলা শৌচাগার বানিয়ে রেখেছেন। অদুদিয়া মাদ্রাসারই আছে ৬ টা। এসব শৌচাগার থেকে মনুষ্য বর্জ্য মরা ছড়া খাল হয়ে সরাসরি যাচ্ছে হালদায়।
সোমবার (৫ মে) সকালে ৬ টি শৌচাগার অপসারণ করা হয়েছে। মাদ্রাসার শৌচাগার গুলো ভাঙার পাশাপাশি বানিয়েও দেয়া হচ্ছে। অন্যদের এই সুযোগ দেয়া হবেনা বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে, হাটহাজারী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের রঙিপাড়ায় দেড় ফুট চওড়া করে বানানো ড্রেনে সরাসরি দশটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের লাইন দেয়া হয়েছে। মানব বর্জ্যগুলো ড্রেন দিয়ে সোজা মরা ছড়া খালে গিয়ে পড়ে। এগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাংলাধারাকে বলেন, দুটো রিং বসিয়ে পাইপ দিয়ে লাইন সরাসরি ড্রেনের সাথে বা মরা ছড়া খালের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। মূলত সেপটিক ট্যাংকির খরচ বাচানোর জন্য তারা এ কাজ করেছে। হালদায় সংযুক্ত ছড়া বা খালের উপর বা পাশে সরাসরি নির্মিত টয়লেট অপসারণের কাজ শুরু করেছি। যাদের এরকম স্থাপনা আছে তাদের নিজ দায়িত্বে অপসারণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হালদা কে দুষনমুক্ত রাখতে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা হালদাকে অর্থাৎ পরিবেশ ভাল রাখতে এই অভিযান অব্যাহত রাখবো।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম