বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতে ম্যাডামকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়েছে। বোর্ড উনার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।’
এর আগে রাত একটার পর গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া।
প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিগগিরই তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ২৩ জুন তার সফল অস্ত্রোপচার হয়।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকেরা। তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও সরকারের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন জানানো হয়।
কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার তা উপেক্ষা করে এসেছে। সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। তবে বিমানে ভ্রমণের মতো অবস্থা না থাকায় এখনই তাকে বিদেশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।