মিরসরাই প্রতিনিধি »
মিরসরাই উপজেলায় হিঙ্গুলী খালে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল স্রোতের কারণে ২ পরিবারের বসতভিটা ভাঙনের কবলে বিলীন হওয়ার পথে।
উপজেলার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের বাহার মিয়ার বাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। বিলীন হওয়ার পথে মৃত কামাল উদ্দিন ও বাহার মিয়ার বসতভিটা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল স্রোতের কারণে ওই স্থানে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বর্ষা মৌসুমে এটা ভয়াবহ রুপ নেয়। বর্ষা মৌসুম ছাড়াও ওই স্থানে ক্রমাগত ভাঙ্গন দেখা যায়। তবে চলতি বছরে এ ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সহায়-সম্বলহীন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত বাহার মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ এই স্থানে বসবাস করে আসছি। ৮ শতক যায়গার মধ্যে আমরা ২ পরিবার মিলে বাড়িটি তৈরি করে কোন রকমে বেঁচে আছি। তবে ক্রমাগত ভাঙনের ফলে ৮ শতাংশ থেকে ভেঙে ৩ শতাংশের মধ্যে শুধু মূল বসতঘর গুলো টিকে আছে। আর বাকিটুকু ভাঙনের কবলে খাল গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
‘কয়েক বছর যাবৎ আমার স্বামী দুরারোগ্য ব্যাধিতে (এজমা) আক্রান্ত হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় মাথা গোঁজার ঠাঁই শেষ সম্বল বসতভিটা যদি হারিয়ে ফেলি তাহলে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেব কিছুই বুঝতেছিনা।’- বলেন রেহেনা বেগম।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা দিদারুল আলম মাস্টার বলেন, আমার নিকটাত্মীয় এ অসহায় পরিবারটির শেষ সম্বল এ বসতভিটা ভাঙনের কবলে বিলীন হওয়ার পথে। যেকোনো মুহূর্তে বাকি অংশটুকু খাল গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন বলেন, হিঙ্গুলী খালের তীব্র ভাঙনের ফলে ৯নং ওয়ার্ড-এর অন্তর্গত কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তা খাল গর্ভে বিলীন হওয়ার বিষয়ে আমরা সকলে অবগত আছি এবং এ ব্যাপারে প্রায় দেড় বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে মাননীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ইউপি সদস্য।
বাংলাধারা/এফএস/এএ