রাঙামাটি পতিনিধি »
পাশ্ববর্তী দেশ থেকে ফিরে এসে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে বাজারে মাছ বিক্রিসহ প্রকাশ্যে ঘুরাফেরার অপরাধে রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো দুই পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে মোবাইল কোর্ট কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথকভাবে শহরের চম্পক নগর, রিজার্ভ বাজার ও রিজার্ভ মুখ এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ জানিয়েছেন, প্রবাসীরা রাঙামাটিতে এসে অনেকেই আত্মগোপনে থাকছেন এবং প্রকাশ্যে বাজারে ঘুরাফেরা করছে এমন তথ্য স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারি।
‘পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম ও পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এসময় চম্পক নগরের একটি পরিবার, রিজার্ভ বাজারের একটি পরিবারকে আমরা ১০ ও ৫ হাজার টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছি।’
‘এছাড়াও রিজার্ভ মুখ এলাকায় আরো একটি পরিবারকে আমরা মৌখিকভাবে সতর্ক করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। এসব পরিবারগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।’
এদিকে রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত রাঙামাটিতে ১১জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জেলার সর্বত্রই খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ডা. মোস্তফা কামাল বলেছেন, নিজেদের মধ্যে সচেতনতাবোধ সৃষ্টি করা নাগেলে স্বাস্থ্য বিভাগের একার পক্ষে বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। সেই লক্ষ্যে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরী মেডিকেল টিমের সদস্যরা যেখানেই খবর পাচ্ছি সেখানেই সংশ্লিষ্টদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বুঝিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পরামর্শ দিচ্ছি। এসময় আমরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের সার্বিক তথ্যাবলি সংগ্রহ করে রাখছি এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
এদিকে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি স্পেন, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ২৪৩ জন নাগরিক রাঙামাটিতে প্রবেশ করেছে। এসব নাগরিকদের প্রায় সকলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা স্বাস্থ্য বিভাগকে কোনো তথ্য প্রদান করেনি। যার ফলে এসব নাগরিক হোম কোয়ারেন্টাইনে আদৌ আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ