শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »
চট্টগ্রামের ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে মামলা বাবদ ২০৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশানরেট। গত ১৮ মাসে বিভিন্ন অনিয়ম ও শুল্ক ফাঁকির মামলায় ২০৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৫ টাকা রাজস্ব আদায় করে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।
যার মধ্যে রাজস্ব ও অর্থদণ্ড বাবদ সর্বোচ্চ ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ ৮১ হাজার ৩৫ টাকা পরিশোধ করেছে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৮ মে পর্যন্ত মোট ১১৭ মামলার মধ্যে ১০৪টি মামলার বিচার আদেশ সম্পন্ন হয়। যেখানে বিচারাদেশ বাবদ জড়িত রাজস্ব ২২৬ কোটি ৯৮ লাখ ৮৬ হাজার ৫৪৩ টাকার বিপরীতে আদায় করা হয় ২০৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৫ টাকা রাজস্ব।
চট্টগ্রামের এই প্রতিষ্ঠানগুলো রাজস্ব ফাঁকি, অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য অর্থদণ্ড এবং জরিমানা প্রাপ্ত হয়। ১১৭ টি প্রতিষ্ঠানের
মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিলের জন্য আবেদন করেছে ইয়োলো সিন্ডিকেট, আর কে এক্সেরিজ, গোল্ডেন সন লিমিটেড, প্যানমার্ক এ্যাপারেল, টেকনো ড্রেস লিমিটেড, ফ্যাশন ক্রিয়েট অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ মোট ৫ টি প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া উচ্চ আদালতে আপিল চলমান রয়েছে ব্রান্ডন্যাশন লিমিটেড, এমএস উডস লিমিটেড, মাল্টি সাফ বিডি লিমিটেড, এম এস প্যাপেলা লিমিটেড, এম এস পদ্মা ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, এম এস ইউ এফ এম লিমিটেড, এম এস এইচ, কে.ডি ইন্টারন্যাশানালসহ মোট ৭টি প্রতিষ্ঠানের।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে সার্ক গার্মেন্টসের বিরুদ্ধে আরো ১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৬০৯ টাকা রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থদণ্ড বাবদ ২৭ লাখ ৫ হাজার ২১৮ টাকা জরিমানার প্রাথমিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। এই ১৩ টি মামলায় আটকে আছে আরো ২০ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯ টাকা।
বিচারাদেশ সম্পন্ন হওয়া ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের ভিতর রাজস্ব ফাঁকি, জরিমান ও অর্থ দন্ডসহ দুইটি বিচারদেশ বাবদ ২ কোটি ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৬ টাকা পরিশোধ করে চট্টগ্রামের মেসার্স লোটাস প্যাকেজিং এন্ড এক্সে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি, অনিয়ম, দুর্নীতির জন্য জরিমান ও অর্থদন্ড পরিশোধ করতে মেসার্স কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্স, গোল্ডেন লিমিটেড, চিটাগং এশিয়ান এ্যাফারেলসসহ আরো
শতধিক প্রতিষ্ঠানকে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশানরেট এর কমিশনার একেএম মাহবুবুর রহমান বাংলাধারাকে জানান, ২০৬ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে রাজস্ব মামলায়। আরো ২০ কোটি টাকার বিপরীতে মামলা হাইকোটে বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট অডিট থেকে আরো কোটি কোটি টাকা ফাঁকির বিষয়টি উদঘাটিত হয়েছ। এই সব বিষয়ে রাজস্ব ফাঁকির মামলা চলমান রয়েছে।