ইসলামী ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের একাধিক একাউন্টসহ ১২৫টি বিকাশ এবং নগদ নম্বর ব্যবহার করে এক নারীর কাছ থেকে প্রায় ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দেশি এবং বিদেশি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদের আদালতে ভুক্তভোগী নারী ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলা গ্রহণ করে সিআইডিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে প্রতারক চক্র তাদের গ্রাহক সংগ্রহ করে। অফলাইন এবং অনলাইনে প্রতারক চক্রের কাস্টমাইজ করা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই টাকা মিলবে— এরকম প্রলোভন দেখিয়ে শুরু হয় প্রতারণার কাজ। প্রথম প্রথম ৩-৪ বার প্রতারক চক্র ক্লায়েন্টকে নির্দিষ্ট টাকা ও প্রদান করে। এরপর প্রতারক চক্র ভুক্তভোগীদেরকে তাদের পাতা ফাঁদে ফেলে বিকাশ, নগদ এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে হাতিয়ে নেয় গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ আদালতকে বলেন, দেশি-বিদেশি এ ধরনের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র শুধু এই নারী নয় দেশের বিভিন্ন জায়গাতেই এভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়ে নিরীহ মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতারক চক্রের সদস্যদেরকে আইনের আওতায় আনতে না পারলে ভুক্তভোগির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলবে।