ksrm-ads

৬ নভেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

৩০ হাজার টাকার জন্যই গৃহবধুকে খুন, খুনি গ্রেফতার

59492183 2885676904991827 7460806763831361536 n

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

নগরীর কোতোয়ালী থানার কোরবানীগঞ্জে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাতে তার স্ত্রীকে খুন ও তার ছেলেকে গুরুতর আহত করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছিল এক দূর্বৃত্ত।

ঘটনার পরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ খুনিকে সনাক্ত করে ফেলে। বুধবার (১ মে) ভোরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মো.সোহেল (৩৭) নামের সেই খুনিকে কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকা থেকে গ্রেফার করতে সক্ষম হয়। সোহেল চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ঈদ পুকুরিয়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ তার কাছ থেকে লুট হয়ে যাওয়া স্বর্নালংকার, ল্যাপটপ ও খুনে ব্যহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে।

দুপুরে এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) আমেনা বেগম।

আমেনা বেগম বলেন, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার মনির কাছে ৩০ হাজার টাক চেয়েছিলেন সোহেল। রোকসানা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যাগে থাকা চাকু ও খেলনা পিস্তল দিয়ে ভয় দেখায় সে। ‘মেরে ফেললেও টাকা দিবেনা’ মনি এমনটা জানালে চাকু দিয়ে তাকে উপুর্যুপুরি আঘাত করে সোহেল। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাসায় আগুনও ধরিয়ে দেয় সোহেল। গ্রেফতারের পর পুলিশকে দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে এমনটা জানিয়েছে মো. সোহেল।

তিনি জানান,গ্রেফতার সোহেল নিহত রোকসানার স্বামী আবুল কাশেমকে মামা ডাকতেন। সোহেল মূলত টাকার জন্য গিয়েছিলেন। একটি ব্যাগে চাকু ও খেলনা পিস্তল ছিল তার। ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করবে এমন পরিকল্পনা ছিল। পরে রোকসানা যখন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তখন রোকসানাকে ছুরিকাঘাত করে। রোকসানার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাসা থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, তেল ও গমের ডিও এবং স্বর্ণালংকার ব্যাগে ভরে নেয়।

তিনি ‍আরো জানান, রোকসানাকে হত্যার পর খাটের উপর তার মরদেহ রেখে খাটে আগুন ধরিয়ে দেয়। রোকসানাকে ছুরিকাঘাত করার সময় বাসার কাজের মেয়ে আসলে তাকে বাথরুমে নিয়ে আটকে রাখে। পরে ছেলে আবদুল আজিজ আসলে তাকেও উপুর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে সোহেল।

সোহেলকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করে কোতোয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা, কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম।

পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান জানান, হত্যার পর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আবদুস সোবহান নামে এক পথচারী বাধা দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে সোহেল। সেখান থেকে পালিয়ে এসে খাতুনগঞ্জের আমির মার্কেট এলাকার নিউ পাক বিল্ডিংয়ে লুকিয়ে থাকে সোহেল।

সন্ধ্যায় খাতুনগঞ্জ থেকে বের হয়ে মইজ্জারটেক এলাকায় গিয়ে ১৮০০ টাকায় নতুন বাসা ভাড়া নেয় সোহেল। পরে ফোন করে স্ত্রীকে মইজ্জ্যারটেক এলাকায় আসতে বলে। সেখান থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সোহেল।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন