ksrm-ads

১৫ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

৪০ টাকার শসা ১০ টাকায়, লোকসানে কৃষক

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় বিগত বছরে কৃষিজমি থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি হলেও চলতি মৌসুমে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি দরে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ৪০ টাকা কেজি থেকে দাম কমে ১০ টাকায় নেমে আসে।

ফলে সঠিক দাম না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। অনেকেই আবার বলছেন ১০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে না শসা।

জানা গেছে, কৃষকের উৎপাদিত শসার দাম হঠাৎ পড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শত শত কৃষক। বাধ্য হয়ে কেউ পানির দরে শসা বিক্রি করছেন। এতে মজুরি খরচই উঠছে না বলে জানান তারা। রোজার মাসে শসার দাম না বাড়লে ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা করেছেন শসা চাষীরা।

খবর নিয়ে জানা গেছে,ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর শসার আবাদ হয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলাতেও সরবরাহ করা হয় এখানকার শসা। বিগত কয়েকবছর ধরে স্থানীয় পাইকাররা কৃষকের ক্ষেত থেকেই শসা কিনে বিভিন্ন জেলায় পাঠান। কিন্তু এবছর ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

সরেজমিনে ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের ধুলিয়াছড়ি এলাকার চাষি নুরুল আফছার বলেন, এ বছর দুই একর জমিতে শসার আবাদ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এখন শসার দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছি। যদিও মৌসুমের শুরু,রমজানে যদি দাম ভালো না পায় তাহলে ব্যাপক লোকসানে পরতে হবে। বাজারে শসার যে দাম, তাতে মজুরি খরচই উঠবে না আমাদের।

সুয়াবিলের ইউনিয়নের চাষি মোয়াজ্জেম বলেন, ৫০ কেজি ওজনের একেকটি শসার বস্তায় ৫০০ টাকাও মিলছে না। শসার ফলন ভালো হয়েছে ঠিকই। প্রতি বছর রমজান মাসে শসার দাম চড়া থাকে। আমরা এখন সেই আশায় আছি।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শসার চাহিদা আগে বেশি থাকায় দাম ছিল বেশি, এখন চাহিদা কম তাই দামও কম। কয়েকদিন আগে ১০-১২ টাকা দরে শসা কিনেছে কৃষকদের কাছে কিন্তু এখন চাহিদা কম থাকায় এবং উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কম।

ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: হাসানুজ্জামান বলেন, মুলত এখন উত্তোলন শুরু হয়েছে মাত্র। আগাম যারা শসা চাষ করেছে তারা লোকসানের সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে লোকসান ঠেকাতে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে পারে। কিন্তু রমজান মাসকে কেন্দ্র করে যারা শসার আবাদ করেছে। তারা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। মূলত বাজারের ওপরই নির্ভর করছে শসার দাম। তবে কৃষকরা যেন ভালো দাম পায় তার জন্য কৃষিবিভাগ কাজ করছে।

আরও পড়ুন